‘আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটকে উপেক্ষা করে আসন বণ্টনের ইজারা পেয়েছে লন্ডন’

আরিফুল ইসলাম আদীব
আরিফুল ইসলাম আদীব | ছবি: সংগৃহীত
1

আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটকে উপেক্ষা করে আগে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে হাওয়া ভবন নমিনেশন বিক্রি করতো আর এখন আরেকটু উন্নতি হওয়ায় লন্ডন থেকে সরাসরি আসন বিক্রির ইজারা নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য আরিফুল ইসলাম আদীব। আজ (বুধবার, ৫ নভেম্বর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি এ কথা লিখেছেন।

আরিফুল ইসলাম লেখেন, ‘প্রথম আলোর মতে ২০টি, আমার দেশ জানাচ্ছে ১০ টি, আর জনকণ্ঠ বলছে ৫টি আসনের সমঝোতা। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটকে উপেক্ষা করে আসন বণ্টনের ইজারা পেয়েছে লন্ডন।’

তিনি লেখেন, ‘ফ্যাসিবাদের রেখে যাওয়া পুরো এস্টাবলিশমেন্টের নতুন বয়ান দাঁড় করানো চেষ্টা। সেটা হলো হাসিনা অবৈধভাবে নির্বাচন করছে আর বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি সমঝোতার নির্বাচন করতে যাচ্ছে, তাহলে হাসিনার কি ভুল?, এ ন্যারেটিভ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কিছু কিছু মিডিয়াও উঠে পড়ে লেগেছে।'

তিনি আরও লেখেন, ‘এ বয়ানে বিএনপির অ্যাক্টিভিস্টরাও খুব মজা পাচ্ছেন। তারাও বিরোধী দলগুলোকে পারলে নিজেদের কাছে আসন ভিক্ষা করাতে চেষ্টারত। মানে তারেক রহমান বা বিএনপির বাহিরে আগামী সংসদে কারও যাওয়ার সক্ষমতা নাই বা থাকলেও তারেক রহমানের সঙ্গে সমঝোতা করেই যেতে হবে সেরকম আরকি। আগে দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে গিয়ে হাওয়া ভবন নমিনেশন বিক্রি করতো আর এখন আরেকটু উন্নতি হওয়ায় লন্ডন থেকে সরাসরি আসন বিক্রির ইজারা নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:

আগের নির্বাচনগুলোতে একটি অবৈধ নেক্সাস ক্ষমতা পরিবর্তনের ইজারা নিত উল্লেখ করে এনসিপির এ নেতা লেখেন, ‘বাংলাদেশে গত ২০ বছরে বা চারটি নির্বাচনে একটি অবৈধ নেক্সাস ক্ষমতা পরিবর্তনের ইজারা নিত। সে চারটি অংশ হলো— রাজনৈতিক গ্রুপ (লীগ), লুটেররার ব্যবসায়ী, গোয়েন্দা সংস্থা, প্রতিবেশি রাষ্ট্র ও পরাশক্তিগুলো।

তিনি লেখেন, ‘এ চারটি নেক্সাস সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র, মানবাধিকার হত্যা করে ক্ষমতা কাঠামো নিয়ন্ত্রণ করতো। ৫ আগস্ট পরবর্তীতে এখানকার রাজনৈতিক অংশ হিসেবে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ উৎখাত হলেও বাকি তিনটি গ্রুপ এখনও বহাল তবিয়ত। তারা আওয়ামী লীগের পরিবর্তে এখন বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি কিছু জায়গায় জামায়াতের সঙ্গে লিয়াঁজো করে আগামী নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় নানা নিউজ, গুঞ্জন পরিকল্পিতভাবে ছড়ানো হচ্ছে।’

তিনি আরও লেখেন, ‘বিএনপি-জামাতের বাইরে এনসিপি, গণঅধিকার বা গণতন্ত্র মঞ্চের আলাদা সম্ভাবনা বা শক্তিকে নানাভাবে নাই করে দেয়ার চেষ্টা চলছে। এ দলগুলোকে নানাভাবে কোন্দল, দুর্নীতি, শক্তিহীন, আপসকামী দেখাতে ব্যস্ত। অর্থাৎ যেকোনো মূল্যে পুরনো এস্টাবলিশমেন্ট ধরে রাখা।’

নির্বাচন কেন্দ্র করে সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে উল্লেখ করে আরিফুল ইসলাম আদীব লেখেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন বা ক্ষমতা পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে এ লুটেরার, মাফিয়া, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রতিবেশি রাষ্ট্রের এ ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। বাংলাদেশের তরুণরা ও জনগণ গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও নাগরিক মর্যাদার পক্ষে দাঁড়াবে।’

এসএস