নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা শাপলা কলি প্রতীক নিতে রাজি হয়েছি। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনো এর স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেয়নি, তবু বৃহত্তর স্বার্থে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এখন প্রতীক নিয়ে পড়ে না থেকে আমরা নির্বাচনি পর্যায়ে প্রবেশ করতে চাই।’
তিনি জানান, সারাদেশে ‘শাপলা কলি’ প্রতীককে কেন্দ্র করে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। ‘শাপলা কলি প্রতীকটি শাপলার চেয়ে একধাপ এগিয়ে, এখানে শাপলাও আছে, কলিও আছে। আমরা যতটুকু চিন্তা করেছি, নির্বাচন কমিশন হয়তো তার চেয়ে একধাপ এগিয়ে চিন্তা করেছে,’ বলেন তিনি।
এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক আরও জানান, দেশের যেকোনো অঞ্চলের যোগ্য ও আগ্রহী ব্যক্তি প্রার্থী হতে চাইলে পার্টি অফিসে এসে আবেদন করতে পারবেন। দলটি এসব আবেদন গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করবে।
নির্বাচন কমিশনের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘আমরা এখনো এ কমিশনকে নির্বাচন কমিশন বলতে পারি না, বরং একে ‘‘ইঞ্জিনিয়ারিং কমিশন’’ বলা যায়। এখানে অনেক কিছু ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে। তবু আমরা আমাদের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ভবিষ্যতেও নির্বাচন কমিশন দেশের মানুষের সঙ্গে স্বেচ্ছাচারী আচরণ করতে পারে।
একই সময়ে তিনি অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে দেশে ধর্মীয় ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে, আর বিএনপির নেতৃত্বে চলছে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস। এই দুই রাজনীতির কোনোটি আমাদের আদর্শ নয়।’
নাসীরুদ্দীন জানান, সকালে এক রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে তিনি শুনেছেন, একটি দলের মনোনয়ন পেতে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। ‘এ ধরনের অনৈতিক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার বিকল্প নেই,’ বলেন তিনি।
সিইসির সঙ্গে বৈঠকে এনসিপির প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও পলিসি অ্যান্ড রিসার্চ লিড খালেদ সাইফুল্লাহ এবং যুগ্ম সদস্যসচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।
শেষে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান, এনসিপির নিবন্ধন-সংক্রান্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করতে, যাতে দলটি পূর্ণাঙ্গভাবে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে।





