সভা শেষে মঞ্চে থাকা জেলার এনসিপি নেতাদের উদ্দেশে ওমর ফারুক বলেন, ‘এরা দালাল, এরা ছাত্রলীগ ও জামায়াতের সঙ্গে জড়িত।’ এতে সভায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়।
ধমকের সুরে ওমর ফারুক আরও বলেন, ‘এনসিপির প্রোগ্রামে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা! আমরা এ জায়গার স্টেকহোল্ডার! উনি জামায়াতের লোক!’
এসময় সারজিস আলম তাকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রেস কনফারেন্স শেষে এ বিষয়ে কথা বলবেন।’ কিন্তু ওমর ফারুক পুনরায় মন্তব্য করলে সারজিস আলম চেয়ার ছেড়ে উঠে তার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
সারজিস আলম বলেন, ‘জামায়াতের কেউ এনসিপিতে আসতে পারে না? আপনি এদিকে আসেন। আপনার কী সমস্যা? মিডিয়ার সামনে এসব কথা বলা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন:
পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সারজিস আলম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘কোনো দলের সঙ্গে নির্বাচনি জোটের বিষয়ে এনসিপি এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে যারা জুলাই সনদের প্রতিটি সংস্কার বাস্তবায়নে এবং জুলাই শহিদ পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে, প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে জোট গঠন করা যেতে পারে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। ফেব্রুয়ারিতেও নির্বাচন হতে পারে। তবে তার আগে সরকারকে জুলাই সনদের আইনগত ভিত্তি দিতে হবে, সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে এবং দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। পাশাপাশি নির্বাচন হতে হবে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ। তাহলে ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে আমাদের কোনো আপত্তি থাকবে না।’
প্রতীক বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘কোনো আইনগত বাধা না থাকলেও এনসিপিকে প্রতীক “শাপলা” দিতে নানা অযৌক্তিক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি— যেহেতু আইনগত বাধা নেই, তাই শাপলাই চাই। শাপলা প্রতীক নিয়েই আমরা আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেব।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করিনি, কারণ এর আইনগত ভিত্তি ও মৌলিক সংস্কারগুলোর বাস্তবায়ন স্পষ্ট নয়। গণভোটে সনদ পাশ হলেও সরকার তা বাস্তবায়ন করবে কি না, সেটি অনিশ্চিত। তাই জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে এনসিপি সনদে স্বাক্ষর করেনি।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ হায়দার, মানিকগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী জাহিদ তালুকদার, যুগ্ম সমন্বয়কারী এ এইচ এম মাহফুজসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতারা।





