আখতার হোসেন জানান, কোনো রাজনৈতিক দলের চাপে জুলাই সনদ যেন শুধু কাগজে দলিলে পরিণত না হয় সেদিকে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়েছিল ১৭ অক্টোবর। সে অনুষ্ঠানে নানা কারণে এনসিপি অংশগ্রহণ করেনি।
আড়াই ঘণ্টাব্যাপী দীর্ঘ এ বৈঠকে ঐকমত্য কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ, বদিউল আলম মজুমদার, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনসিপির শীর্ষ নেতা আখতার হোসেন বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিশ্চিত হলেই এনসিপি এ সনদে স্বাক্ষর করবে।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের ওপর রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ ২৪৭ দিনের আলোচনা ও মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ চূড়ান্ত করা হয় মাঝ অক্টোবরে।
আরও পড়ুন:
ফ্যাসিবাদ বিলোপ, গণভোট, দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ, রাষ্ট্রযন্ত্র ও সরকার ব্যবস্থা কেমন হবে সেটির রুপরেখা এক ফ্রেমে আনতে যেখানে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব ছিল। তাতে সম্মতি জানিয়ে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে ২৫টি রাজনৈতিক দল। তবে স্বাক্ষর থেকে এখনো বিরত আছে এনসিপি।
আখতার হোসেন বলেন, ‘এক দল জুলাই সনদ স্বাক্ষর মুছে দেয়ার সুযোগ খুঁজছে; আরেকটি দল জুলাই সনদের বাস্তবায়নকে ভেস্তে দেয়ার সুযোগ খুঁজছে। এ অবস্থায় এনসিপি মনে করে, জুলাই সনদের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নই কেবল এ সংকট থেকে উত্তরণ ঘটাতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে আন্তরিক। তবে এটি যেন কোনো দলের চাপে পড়ে একটা কাগুজে দলিল হিসেবে না হয়, সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে।’
এছাড়া কোনো দলের সঙ্গে জোটের বিষয়ে আলোচনা হয়নি তবে দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক জোটে যেতে পারে এনসিপি, এমনটাও জানান এনসিপির এ শীর্ষ নেতা।





