জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য ঘিরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা গেছে এক ব্যতিক্রমী সুর। ভাষণে নির্বাচনি রোডম্যাপ স্পষ্টভাবে উঠে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে ভাষণটি অত্যন্ত জোরালো ছিল।’
মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা উপলব্ধি করছিলাম যে আওয়ামী লীগ যে অবস্থায় দেশকে নিয়ে গিয়েছিল সে অবস্থায় মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া, একদিকে রাষ্ট্রের কাঠামো পরিবর্তন অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিবর্তন ছাড়া এই দেশকে আবার পরিবর্তন করা কষ্ট হবে। সেটাই প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের সামনে তুলে ধরলেন। এ ব্যাপারে আমাদের অন্তত সংশয় নেই।’
আরও পড়ুন:
এদিকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকেও এসেছে ইতিবাচক সাড়া। দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘নির্বাচনের আগে জুলাই চার্টার বাস্তবায়ন এবং দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদে পিআর পদ্ধতি চালু করাই এখন সময়ের দাবি।’
আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে করার ব্যাপারে কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু তার আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সমাধান করা দরকার।’
একই সুর শোনা গেছে এনসিপির পক্ষ থেকেও। দলটির নেতা আখতার হোসেন জানান, কেবল নির্বাচন নয়, তার আগে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করাই বড় চ্যালেঞ্জ। দলের শীর্ষ নেতা আখতার হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বাস্তব সংস্কার ছাড়া জনগণের আস্থা ফিরে আসবে না।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে সেটাকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখি। কিন্তু তার আগে সংস্কার কাজগুলো সমাপ্ত করা হয়। তাহলে আরও গোছানোভাবে নির্বাচনের দিকে যাওয়া সম্ভব হবে।’
এই তিন দলের এই তিন শীর্ষ নেতারাই উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তে। সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের মতে, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের এক ঐক্যবদ্ধ বার্তা।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর এই ঐকমত্য ও আন্তর্জাতিক আয়োজনে উপস্থিতি যদি মাঠের আগামীর রাজনীতিতেও প্রতিফলিত হয়, তাহলে গণতন্ত্র আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে, এমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।




