ছাত্র-জনতার রক্তের মাখা গণঅভ্যুত্থানের পর যে রাষ্ট্র সংস্কারের জনআকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে, তারই আলোকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে আলোচনা, মতবিনিময় ও সেমিনার শেষে গেল মাসে সুপারিশমালা দেয় ৬ সংস্কার কমিশন।
সংস্কার কমিশনগুলোর দেয়া ১৬৬ প্রস্তাবনার ওপর মতামত জানতে চাওয়া হয় ৩৮টি রাজনৈতিক দলের কাছে। তবে সবার আগে সাড়া দেয় এলডিপি।
আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যদের সাথে বৈঠকে বসে দলটির ৮ সদস্যদের প্রতিনিধি দল।
বৈঠকের শুরুতে অলি আহমেদ জানান, তার দল ১৬৬টি প্রস্তাবের মধ্যে ১২০টির সাথে একমত, বাকী ৪২টিতে একমত নয়, দুটোতে আংশিকভাবে একমত আর ২টি অস্পষ্ট।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেন, ‘যে দলের আদর্শিক অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করার যে প্রচেষ্টা তার সঙ্গে আমরা মনে করি বিশেষ সুযোগ এবং আমাদের জন্য একটা বড় রকমের অর্জন।’
সবগুলো সুপারিশের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সুপারিশগুলো সবচেয়ে দুর্বল ছিল বলে জানান এলডিপি প্রেসিডেন্ট।
এলডিপি প্রেসিডেন্ট কর্নেল অলি আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কারে প্রস্তাব ছিল মোট ২৭ টি। একমত হয়েছি ১৬ টিতে। একমত না ১১ টিতে। আংশিক একমত না এমন কিছু নেই। সবগুলোর মধ্যে আমি বলবো নির্বাচন কমিশনের কাগজগুলি খুবই দুর্বল ছিল।’
ঐকমত্য কমিশনের দেয়া প্রশ্নের স্প্রেডশিটে এখন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী, এলডিপিসহ ১৬টি দল মতামত দিয়েছে। আগামী রোববার মতামত দেয়া কথা জানিয়েছে বিএনপি ও নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতে একে একে আলোচনায় বসবে ঐকমত্য কমিশন।