আওয়ামী লীগের আমলে নিপীড়নের শিকার হয়ে সংকুচিত হয়ে আসে বিরোধী দলগুলোর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। যার প্রভাব পড়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মূল সংগঠন থেকে শুরু করে দলগুলোর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনে। কিন্তু চব্বিশের অভ্যুত্থানের পর স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরতে শুরু করে সংগঠনগুলো।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ (বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে সদস্য ও আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জনগণ গণতান্ত্রিক শাসনে ফিরে যেতে প্রস্তুত হয়ে আছে। কেউ কেউ নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিস্টদের ফিরিয়ে আনতে চায় বলেও মন্তব্য তার।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'ফ্যাসিস্টদের লোকেরা যদি কেউ মাফ চেয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় তাহলে তারা অংশ নিতে পারবে। তাদের কথায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে, তারা এখন তাদের নিজেদের স্বার্থে ওই ফ্যাসিস্টদের জায়গা দিতে চায়।'
এসময় তিনি আরও জানান, সরকারে বসে দল গঠন করলে জনগণ আস্থা হারাবে। সরকার নিরপেক্ষতা হারালে আরেকটা নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজনীয়তার কথা আবারও ফুটে ওঠে তার বক্তব্যে।
মির্জা ফখরুল বলেন, 'অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধানকে বলতে চাই, আপনি অবিলম্বে বিষয়গুলোর ব্যবস্থা নিন। তা নাহলে জনগণের যে আস্থা আপনাদের পর আছে, সে আস্থা আপনাদের উপরে আর থাকবে না। আমি যখন প্রথম বলেছিলাম, যে যদি এই অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ নিরপেক্ষতা হারায় তাহলে আর একটি নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে।'
অন্যদিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক স্মরণসভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু অভিযোগ করেন, নির্বাচন বানচাল করতে দেশে বিভিন্ন বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, 'দেখবেন এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির পরিকল্পিতভাবে চেষ্টা হচ্ছে। যদি বিশৃঙ্খলা হয় তাহেল নির্বাচন হবে না। আর যদি নির্বাচন না হয় তাহলে ফ্যাসিবাদের উল্লাস আবার হয়তো দেখার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।'
নতুন ধারার ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই রাজনীতিতে সুস্থ ধারা ফিরে আসবে বলে প্রত্যাশা ছাত্র নেতাদের।