সংবিধানের দোহাই দিয়েই নির্বাচনে নানা অনিয়ম করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ অনেকদিনের। তার বিরুদ্ধে গণরায়ও এসেছে ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানে।
বিএনপি মনে করছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার আগে প্রয়োজন সংবিধানের কিছু নির্বাচনী সংস্কার। সে লক্ষ্যে নির্বাচনী পর্যবেক্ষণ নীতিমালা আধুনিকায়ন, সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকাসহ ১৭ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
আজ (সোমবার, ৯ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি গঠিত সংবিধান সংস্কার বিষয়ক কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যাদের মাধ্যমে এই অপকর্ম করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছি। এবং ওই ধরনের লোকরা যেন আর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় না থাকে সেটা আমরা প্রস্তাব করেছি। কাজেই আমরা বিশ্বাস করি যে সরকার ক্ষমতায় থাকছে তার নির্বাচনে বিজয়ের বা পরাজয়ের কোনো স্টেক নেই। কাজেই নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে।’
ব্রিফিংয়ে স্থায়ী কমিটি সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য শুধু সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট।
তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে কেয়ারটেকার গভর্নর তিন মাসের ভেতর একটি নির্বাচন করেছিল। যে নির্বাচন এখনও বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে একটি শ্রেষ্ঠ নির্বাচন হিসেবে বিবেচিত হয়।’
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, অধিকাংশই আইনি সংস্কারের বিষয়, যা করে নির্বাচন দিতে তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় লাগার কথা না বলে দাবি করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এই কাজগুলো গোছাতে দুই থেকে তিন মাসের বেশি সময় লাগার কথা নয়। এখন সরকারের সংস্কারের আরও বিভিন্ন সাইড আছে। প্রশাসনিক সংস্কার আছে, জুডিসিয়াল সংস্কার আছে। এগুলো সব সমন্বিত করে নির্বাচন উপহার দিতে আমাদের মনে হয় না আমাদের তিন থেকে চার মাসের বেশি সময় লাগার কথা।’
নির্বাচনের ফল নিয়ে সরকারের আগ্রহ না থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
এদিকে আগামী বুধবার থেকে আগরতলা অভিমুখে ঢাকা-আখাউড়া লংমার্চের ঘোষণা দিয়েছে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং ছাত্রদলের নেতারা। সকালে এই লংমার্চের ঘোষণা দিয়ে সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।