মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ছাত্রজনতার আন্দোলনে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হলেও দেশে এখনও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারায় লিপ্ত রয়েছে পরাজিত শক্তির দোসররা। তারা গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।’
মূলত আজ সকালে গোপালগঞ্জ জেলাধীন কোটালীপাড়া থানার পাটগাতিস্থ নিজ গ্রামে যাওয়ার সময় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়িবহরে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা।
হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মো. শওকত আলী দিদারসহ, এস এম জিলানী ও তার সহধর্মিনীসহ অনেকেই হতাহত হয়েছেন বলে দলীয়ভাবে অভিযোগ জানানো হয়। হামলার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব।
বিবৃতিতে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী শাসনামলে এই সন্ত্রাসীরা অনেক কালো টাকা উপার্জন করেছে। সেই কালো টাকা তারা এখন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে কাজে লাগাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে মেনে নিতে পারছে না বলেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গোপালগঞ্জে এস এম জিলানীর গাড়িবহরে যে হামলা চালানো হয়েছে তা গভীর দেশী—বিদেশি চক্রান্তের বহি:প্রকাশ। এসব সন্ত্রাসীদের কঠোর হস্তে দমন করার কোনো বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘হামলা ও রক্তাক্ত পথ অনুসরণ করে ষড়যন্ত্রকারীরা যাতে ফায়দা হাসিল করতে না পারে সেজন্য ছাত্র—জনতাসহ সকল গণতন্ত্রমণা মানুষকে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে এখনও ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে হবে। আর তাহলেই দেশ থেকে ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের মূলোৎপাটনসহ দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।’
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত দুষ্কৃতিকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর আহ্বান জানান।