কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
দেশে এখন
0

ড্রাগন চাষে সাফল্য, আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

বাণিজ্যিকভাবে ড্রাগন ফল চাষ করে বছরে কয়েক লাখ টাকা আয় করছেন সিরাজগঞ্জের কৃষক ইদ্রিস আলী। প্রতি বিঘায় ফলন পাচ্ছেন কমপক্ষে ৩৮ থেকে ৪০ মণ। তার এই সাফল্য দেখে এলাকার অনেক কৃষকই আগ্রহী হয়ে উঠছেন ড্রাগন চাষে। আর কৃষকদের মাঝে উচ্চমূল্যের ফসলের আবাদ সম্প্রসারণ করতে কাজ করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

সিরাজগঞ্জের শিয়ালকোলের কৃষক ইদ্রিস আলী। পাঁচ লাখ টাকা খরচ করে দুই বিঘা জমিতে গড়ে তুলেছেন ড্রাগন বাগান। এ থেকে চলছে সংসার, ঘুরেছে তার ভাগ্যের চাকা।

প্রতি বিঘা জমিতে ফলন হয় ৩৮ থেকে ৪০ মণ ড্রাগন। চাহিদা ভালো থাকায় প্রতি মণ ড্রাগন বিক্রি সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি করছেন এই চাষি। এতে বছরে তার আয় ২ থেকে ৩ লাখ টাকা।

কৃষক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘চার-পাঁচটা গাছে জোয়ার আছে। আশা করছি আরো গাছে আসবে। এ ছয়টা জোয়ার হার্ভেস্ট করতে পারি তাহলে এ বছর চালান উঠে লাভবান হব।’

স্থানীয় বাজারেই রয়েছে এই ফলের ব্যাপক চাহিদা। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে বাগান থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ড্রাগন ফল। লাভজনক হওয়ায় ড্রাগন ফল চাষে ঝুঁকছেন জেলার কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ বলছে, উচ্চ মূল্যের ফসলের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয়ে তাদেরকে পরামর্শ দেয়ার কথা জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার সাদাত বলেন, অল্প সময়ে এ ফল থেকে ভালো ফলন পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ফলে বেশ চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন ঔষধি ও পুষ্টি উপাদান থাকায় নতুন উদ্যোক্তারা এ ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে।’

সিরাজগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের সিনিয়র উদ্যানতত্ত্ববিদ মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কৃষি সম্প্রসারণ কর্তৃপক্ষ হর্টিকালচারের পক্ষ থেকে এবং বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে নতুন বাগান স্থাপনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

চলতি বছর জেলায় ১৭ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ হয়েছে। আর এর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫ টন। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।

এএইচ