কদিন বাদেই ঘরে উঠানোর কথা ছিল ভুট্টা। কিন্তু ঘুর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে খেতেই ভেঙে পড়ে আছে ভুট্টা গাছ। ক্ষতির মুখে জেলার ভুট্টা চাষি। একই চিত্র কলাসহ জেলার সব ফসলের খেতের।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে নাটোরের আম বাগানিরা। গাছ থেকে ঝরে পড়েছে ফজলি, খিরসাপাত, আম্রপালি, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ আম। আর ঝরে পড়া এসব আম বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা কেজি দরে। তবে পরিপক্ক ও অপরিপক্ক আম ঝড়ে পড়ার কারণে এবার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে চাষিদের মাঝে।
কৃষক বলেন, আমাদের এখানে ভুট্টা ও তরকারির আবাদ নষ্ট হইছে। অনেক গাছও নষ্ট হয়ে গেছে। এ বছর আশা ছিল আমের ব্যবসা হবে। কিন্তু ঝড়ের কারণে আর টাকা উঠাইতে পারবো না। তিন ভাগের দুইভাগেই আম পড়ে গেছে।
বর্তমানে জেলার মাঠগুলোতে ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৭১ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, কলা, বিভিন্ন সবজি রয়েছে। এরমধ্যে ঝড়ে ৩ হাজার ৮২৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনুমানিক ক্ষতি অন্তত ৫১ কোটি টাকা।
কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক লুৎফুন নাহার।
তিনি বলেন, 'আমরা পুরোপুরি আশাবাদী যে এই ক্ষতি কৃষক পুষিয়ে নিতে পারবে। চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করছি, ক্ষতিপূরণের বরাদ্দ আসলে কৃষক অবশ্যই পাবে।'
আর ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের বিশেষ প্রণোদনার আওতায় এনে সাবলম্বী করার পাশাপাশি স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি জেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের।