সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার চরবর্ধনগাছা গ্রামের কৃষক সাইদুর সরকার। চলতি মৌসুমে ১০ বিঘা জমিতে শসার আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘায় ৩০ হাজার টাকা খরচ করে বিঘা প্রতি লাভ করছেন ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
তিনি বলেন, 'এর সাথে কোন ফসলই পারে না। ৩০-৩৫ দিনে আমরা বাজারজাত করতে পারি।'
গত বছর দাম ভালো পাওয়ার এবার জেলায় ৭০৭ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে। বিশেষ করে চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলায় আবাদ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রতি বিঘায় ফলন পাচ্ছেন ৭০ থেকে ৮০ মণ। প্রতি মণ শসা বিক্রি করছেন ৯শ' থেকে ১ হাজার টাকায়।
কৃষকরা বলেন, একবিঘা জমিতে ২০-২২ মণ শসা হয়। ৫০০ টাকা মণ বিক্রি করলেও প্রতি চালানে ১১ হাজার টাকা হয়। বাজার যেভাবে বাড়ছে তাতে লাভ ভালোই আসবে।
শসা কেনাবেচার জন্য উল্লাপাড়ার চরবর্ধনগাছায় প্রতিদিন বসছে শসার হাট। ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকাররা আসছেন এই হাটে। প্রতি হাটে কেনাবেচা হচ্ছে অন্তত ৫০ লাখ টাকার শসা।
অন্যান্য ফসলের থেকে কম সময়ে ফসল বিক্রি করতে পারার পাশাপাশি ভালো লাভ হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শসার আবাদ। ফলন বাড়াতে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেয়ার কথা জানান স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, 'আমরা সার্বক্ষণিক কৃষকের পাশে আছি। তাদেরকে পরামর্শ দেয়ার কারণে শসাচাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।'
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবর্ণা ইয়াসমিন বলেন, 'শীতকালে সকল সবজি সহজলভ্য থাকে না। তাই জমি অনাবাদি না রেখে তারা এই শসা চাষ করে।'
জেলায় এবার ১৫ হাজার ৫৩০ টন শসার উৎপাদন লক্ষ্য ঠিক করেছে করেছে কৃষি বিভাগ, যার বাজারমূল্য অন্তত ১৫ কোটি টাকা।