বৈরি আবহাওয়ায় মাছ শিকার ব্যাহত, বেড়েছে ইলিশের দাম

0

বৈরি আবহাওয়ায় আবারও ব্যাহত হচ্ছে সমুদ্রে মাছ শিকার। ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশের দেখা মেলার আশা করলেও অনেকটা খালি হাতে ফিরতে হয়েছে বরগুনার জেলেদের।

এতে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের সরবরাহ কমেছে জেলার বাজারগুলোতে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধির আশা মৎস্য বিভাগের।

মাছ শিকারে গিয়ে বৈরি আবহাওয়ায় অনেকেই ফিরছেন শূণ্য হাতে। কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা না মেলায় ভারি হচ্ছে ঋণের বোঝা। তবু, বৈরিতা কাটলে আবারও সমুদ্রে যাওয়ার আশা জেলেদের।

জেলেরা জানান, মাছ না পাওয়ায় তাদের সার্বিক অবস্থা খুবই খারাপ। আর্থিকভাবে তারা দুর্দশায় রয়েছেন।

এদিকে, সমুদ্র উত্তাল থাকলেও বরগুনার পায়রা, বিষখালী আর বলেশ্বর নদীতে ইলিশ শিকার করছেন জেলেরা। তবে, চাহিদার তুলনায় কম থাকায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে ইলিশ। এমন অবস্থায় বড় সাইজের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭শ' থেকে ১৮শ' টাকায়। আর মাঝারি আকারের ইলিশের কেজি ১২শ' থেকে ১৩শ' টাকা।

মাছ বিক্রেতারা জানান, আবহাওয়া খারাপ থাকায় সমুদ্রের ইলিশ মাছ অনেক কম।

তবে, বৈরি আবহাওয়া কাটলে ইলিশের সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি দামও কমে আসবে বলে মনে করছে মৎস্য বিভাগ।

ফোনকলে বরগুনার মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসিন বলেন, ‘তিন নম্বর সংকেতে সমুদ্রের পানি অনেক উত্তাল থাকে। এর মধ্যে মাছ ধরা খুবই কঠিন, হয় না। এ সতর্ক সংকেত উঠিয়ে নেয়া হলে আশা করছি জেলেরা আবার বেশি করে মাছ ধরতে পারবে।’

জেলায় নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত মিলিয়ে লক্ষাধিক জেলে থাকলেও সমুদ্রগামী নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ২৭ হাজার ২৫০ জন।

tech