কৃষি , মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ
দেশে এখন
0

খরচ বাড়ায় খামারে কমছে গরু, প্রভাব দুধ উৎপাদনে

গো-খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি সংকটে ফেলেছে উত্তরের জেলা নাটোরের দুগ্ধজাত শিল্পকে। লালনপালন খরচ বাড়ায় বাণিজ্যিক খামারগুলোতে কমেছে গরুর সংখ্যা। যার প্রভাব পড়েছে দুধ উৎপাদনে। পাশাপাশি সংকটে পড়ছে মিষ্টান্ন খাত।

হরেক রকমের মিষ্টান্ন তৈরিতে ব্যবহার হয় দুধ। শতকোটি টাকার মিষ্টান্ন ব্যবসায়, দুধের চাহিদার বেশিরভাগই পূরণ হয় স্থানীয় ডেইরি খামার থেকে।

২০০৭ সালে নাটোর সদর উপজেলার একডালা এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠে গ্রিনফিল্ড ডেইরি খামার। ২৩০টি গাভী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে রয়েছে ১১০টি গরু। এর ধ্যে দুধ দেয় এমন গরু মাত্র ৪৩টি। আগে যেখানে ৫০০ থেকে ৬০০ লিটার দুধ উৎপাদন হতো, এখন এসব গরু থেকে দিনে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ২০০ লিটার দুধ। খামারে ফাঁকা পড়ে রয়েছে শেডের অনেক জায়গা।

একজন খামারি বলেন, 'বাজার ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দুধ নিয়ে আমরা বিপদে পড়ে যাই। দুধ যদি বাজারে বিক্রি করতে যাই তাহলে ৪০, ৪৫ বা ৫০ টাকা বিক্রি হয়। কিন্তু খাদ্যের দামটা অনেক বেশি। আগে খামারে অনেক গরু ছিল, কিন্তু এখন পোষাতে না পেরে কমানো হয়েছে।'

পর্যাপ্ত দুধ পেতে গরুর খাবার হিসেবে দেশি ঘাস, খড়ের পাশাপাশি খৈল, গমের ভূষি ও ফিড খাওয়ানো হয়। প্রতিটি গরুকে দিনে অন্তত ৫ কেজি খাদ্য খাওয়ান খামারিরা। যার বর্তমান বাজারমূল্য অন্তত ৫শ' টাকা। এমন অবস্থায় খরচ কুলিয়ে উঠতে না পারায় গরু পালন কমিয়েছেন অনেকে। যার সঙ্গে কমেছে দুধ উৎপাদন।

এমন অবস্থায় গরুকে বেশি বেশি ঘাস খাওয়ানোর পাশাপাশি খামারিদের ঘাস চাষের পরামর্শ দেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

নাটোরের জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'গবাদিপশু লালনপালন করতে ঘাসের কোনো বিকল্প নেই। আমরা খামারিদের ঘাস চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। তাদের বিভিন্নভাবে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি।'

নাটোরে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ১৯ হাজার ডেইরি খামার রয়েছে। জেলায় বছরে ১ লাখ ৮৫ হাজার ৮২১ টন দুধের চাহিদার বিপরীতে খামারেই উৎপাদন হয় ২ লাখ ২২ হাজার টন দুধ।

এসএস