দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ শুরু হয় ১৯৮৬ সালে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার প্লাবণভূমিতে। বর্ষা মৌসুমে মাছ ও শুকনো মৌসুমে এখানে ধান চাষ করেন চাষিরা।
কুমিল্লায় ৬৫ লাখ মানুষের মাছের বাৎসরিক চাহিদা ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার টন। বিপরীতে ৩লাখ ৩ হাজার টন উৎপাদন হয়। সিংহভাগই উৎপাদিত হয় প্লাবণভূমিতে। চাহিদা পূরণের পর উদ্বৃত্ত থাকে ১ লাখ ৪৯ হাজার টন মাছ।
প্লাবণভূমিতে মাছ উৎপাদনে এসেছে সমৃদ্ধি, কমেছে বেকারত্ব।
পদকজয়ী জেলার শ্রেষ্ঠ মৎস্য উদ্যোক্তা আলী হোসেন বলেন,'১১৫টা মৎস্য চাষ প্র্র্রকল্পের কারণে প্র্রায় ১৫হাজার বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে। লক্ষাধিক পরিবার স্বাবলম্বী হতে পেরেছে।'
তবে মাছের খাবার আমদানি নির্ভর হওয়ায় বর্তমান ডলার সংকটে বেড়েছে উৎপাদন খরচ। চাষীরা মাছের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই আগামীতে বড় চ্যালেঞ্জ উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখা।
চাষিরা জানান, 'দুই-এক মাস পরপরই খাবারের দাম বাড়ে। তাই এখন আমাদের আগের মতো লাভ হইতেছে না।'
রুই, মৃগেল, কাতলা, কার্প, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছসহ প্রতিবছর উৎপাদন হচ্ছে আড়াই হাজার কোটি টাকার মাছ। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মাছের উৎপাদন বাড়াতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে কাজ করছে সরকার। প্লাবণভূমির পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথা জানান মৎস্য কর্মকর্তারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, 'যেসব এলাকায় এখনো চাষ শুরু হয়নি সেখানের চাষিদের সংঘবদ্ধ হওয়ার জন্য আমরা পরামর্শ দিচ্ছি। যেন উনারাও অনুপ্রাণিত হয়।'
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, জলাশয়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করে বৈজ্ঞানিকভাবে মাছের উৎপাদন করতে হবে। একই জলাশয়ে যেন আগের চেয়ে বেশি মাছ উৎপাদন হয়।'
মাছচাষে স্বয়ংসম্পূর্ণ কুমিল্লা, দেশের মাছ উৎপাদনে অবস্থান দ্বিতীয়।