স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের শিল্পখাত বলতে ছিল পাট। বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের প্রধান পণ্য হওয়ায় তকমা পেয়েছিলো সোনালি আঁশের। একদিকে যখন পোশাক শিল্পের উত্থান শুরু হয় দেশে, তখন পথ হারাতে থাকে পাটশিল্প।
তবে পাট নিয়ে কাজ থেমে থাকেনি, চলেছে গবেষণা। যার হাত ধরেই বাড়ছে পাটজাত পণ্য রপ্তানি। তবে, বিশ্বব্যাপী পাটের বাজার যেখানে প্রায় ২০০ বিলিয়ন, সেখানে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে মাত্র কয়েক বিলিয়ন ডলার।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে পাট নিয়ে এক সেমিনারে গবেষণায় জোর দিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। বললেন, গবেষণার মাধ্যমে বাড়ছে পাটজাত পণ্য। এগুলো তুলে ধরা হচ্ছে বিদেশের বাজারের জন্য।
অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ব্রাজিলসহ ১৩৫টি দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি করছে বাংলাদেশ। আর এসব পণ্য নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীতে একদিনের এই প্রদর্শনী।
দর্শনার্থীরা বলেন, আজকের এই আয়োজন বাংলাদেশের এ সম্পদকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। রপ্তানির কথা মাথায় রেখে যদি আমরা কাজ করি তাহলে তারা অবশ্যই আমাদের পণ্য নিতে বাধ্য হবে।
পাটজাত পণ্য নিয়ে কাজের আগ্রহ বেড়েছে ব্যবসায়ী মহলে। এর বাজার প্রসারে সরকারের নীতি সহায়তার দাবি তাদের।
ব্যবসায়ীরা বলেন, সমন্বয় না থাকার কারণে আমাদের এ খাত সামনে এগোতে পারছে না। পাটের জন্য যদি ২৪ ঘন্টা সার্ভিস হড়ে দেওয়া হয় তাহলে বাংরাদেশের সকল জুটমিল সচল হবে।
পরিবেশবান্ধব পাটজাত পণ্য হতে পারে আগামীর অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের খাত। তাই এখনই নজর দেবার আহ্বান খাত সংশ্লিষ্টদের।