ড. ইউনূস তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। দুই দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখতে চীনা প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
এসময় তিনি জুলাই অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'এই অভ্যুত্থান ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের পথ সুগম করেছে।'
বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন এবং মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও সম্মানজনক প্রত্যাবর্তনে চীনের শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সাথে বৈঠকের পর বেইজিংয়ে চীনের ব্যবসায়ী নেতা চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এর ভাইস-চেয়ারম্যান ইয়াও ওয়াংয়ের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠককালে নেপাল, ভুটান ও সেভেন সিস্টার্সসহ এই অঞ্চলের ভূ রাজনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা একই ভেন্যুতে তিনটি গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেবেন, যার বিষয়বস্তু হলো— টেকসই অবকাঠামো ও জ্বালানি বিনিয়োগ, বাংলাদেশ- উৎপাদন ও বাজারের সুযোগ এবং সামাজিক ব্যবসা, যুব উদ্যোক্তা ও থ্রি জিরো বিশ্বের ভবিষ্যৎ।