ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম পর্ব সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। অভ্যুত্থানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হলো। এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রবাসীরা ভোটাধিকার দিতে পারে, সেজন্য কাজ করছি। শিগগিরি দেশে নতুন নতুন বিদেশি বিনিয়োগ আসবে। সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে দেশে রপ্তানি ১৩ শতাংশ বেড়েছে। পৃথিবীর সকল সরকার আমাদের প্রতি বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সরকারের লক্ষ্য।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান এই চারটি দেশ মিলে একটি যৌথ অর্থনীতি গড়ে তুলতে পারলে চার দেশই লাভবান হবে। বাংলাদেশের শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে নেপাল ও ভুটানের জলবিদ্যুতের বিকল্প নেই।’
তিনি বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার এই দুর্নীতিকে বিশ্বের শীর্ষ স্থানে নিয়ে গেছে। পুরো বিশ্ব বুঝে গেছে, আমরা জাতি হিসেবে সৎ নই। যা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আত্মঘাতী। দুর্নীতিমুক্ত হতে না পারলে ব্যবসা-বাণিজ্য কিছুই চলবে না। দুর্নীতি থেকে মুক্ত হওয়া ছাড়া বাংলাদেশের কোনো গতি নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশনে রাজনৈতিক পরিচয় বাতিলের পর এ পর্যন্ত আটকে থাকা ৭০ হাজার নতুন পাসপোর্ট আবেদনকারীদের হাতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্টারলিংক চালু হলে মানুষকে আর তথ্যবন্দি করার কোনো সুযোগ থাকবে না। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিশ্বমানের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে।’
গুজব প্রতিহতের আহ্বান জানিয়ে ড. ইউনূস তার ভাষণে বলেন, ‘গণহত্যায় জড়িতরা ইতোমধ্যে বিশ্বের কাছে স্বীকৃত। তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবেই। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই গুজবের এক মহোৎসব চলছে। দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে। গুজব দেখলেই গুজবের সূত্রের সন্ধান করতে হবে। গুজবকে অবহেলা করবেন না। আমাদের সামগ্রিক ঐক্য পলাতক শক্তির গায়ে জ্বালা ধরিয়ে দিচ্ছে। তারা এই ঐক্য ভাঙতে চায়।’