জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম, সাহিত্যে আল মাহমুদ, সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ, সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ, মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে আজম খান এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ।
এবছর সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক এই ভূষিত হয়েছেন। এরমধ্যে ছয়জনকে মরণোত্তর এই পুরস্কার দেওয়া হয়, তাদের পক্ষে পরিবারের সদস্যরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।
আরো পড়ুন: ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত আজ
পুরস্কারের জন্য মনোনীত একমাত্র জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তি বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর ব্যক্তিগত কারণে স্বাধীনতা পুরস্কার নেবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। শতাধিক গ্রন্থের এই লেখক আজীবন কোনো পুরস্কার গ্রহণ করেননি। তার পুরস্কারের রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মরণোত্তর দেয়ার পালা শেষ করে জীবিতদের স্বাধীনতা পুরস্কার এর সম্মান দিতে হবে। জীবদ্দশায় তাদের কথা স্মরণ করতে না পারলে অকৃতজ্ঞ জাতি হিসেবে চিহ্নিত হবো। যথা সময়ে তাদের সম্মান দিতে হবে।’
আরো পড়ুন: নতুন আঙ্গিকে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
তিনি বলেন, ‘তারা আমাদের জাতিকে এক মহান উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। জাতি হিসেবে নিজেদের সম্মান তাদের মাধ্যমে পাচ্ছি।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে এখনো ন্যায়বিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। দুর্নীতি লুটপাট ও গুম খানের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা কয়েম করা হয়েছিল।’
আরো পড়ুন: '৭১ এর মতোই '২৪ এর আন্দোলনও ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে
জুলাই অভ্যুত্থানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি। এ সুযোগ কখনো বৃথা হতে দেবো না বলেও জানা প্রধান উপদেষ্টা।
সম্মাননা দেখে যেতে না পারা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাদেরকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করতে পেরে সবাই আনন্দিত। তাদের কাজ যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেবে বলেও জানা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।