প্রতিবেদনে কমিশনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর কমিশনের প্রধান সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেন, ‘সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সংকটে পড়ে গিয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমে কালো টাকা ঢুকেছে, মালিকানায় সমস্যা রয়েছে। কী মাধ্যমে মালিক হয়েছেন তা জানা যায় না। স্বচ্ছ, উন্মুক্ত পরিবেশে এগুলোর অনুমোদন দেয়া হয় নি।’
কামাল আহমেদ বলেন, ‘টেলিভিশনের অনুমোদনের আবেদনে জনস্বার্থের কোনো বিষয় ছিল না। সেখানে নিজেদের স্বার্থে কাজ করা হয়েছে।’
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, ‘টেলিভিশন, রেডিও, সংবাদপত্র, অনলাইন আলাদা আলাদা মাধ্যম হলেও সাংবাদিকতার সমস্যা এক। গণমাধ্যমের সমস্যা খুঁজে বের করে সমাধানও আমরা বের করার চেষ্টা করেছি।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘যারা সংবাদপত্রের মালিক তারা টেলিভিশনের মালিক হতে পারবে না এমন সুপারিশ করেছি। পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি করতে হবে যাতে সবার শেয়ার থাকে। ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়া। এক ব্যক্তির একাধিক মিডিয়া থাকা যাবে না।’
সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দরকার, সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রেস কাউন্সিল কার্যকর না, তারা সাংবাদিকদের স্বাধীনতা রক্ষায় ভূমিকা রাখতে পারেনি।’
এছাড়াও প্রতিবেদনে, জাতীয় গণমাধ্যম কমিশন এবং প্রেস কাউন্সিলকে একীভূত করা, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তার জন্য বিসিএস নবম গ্রেডের সমপরিমাণ বেতন ভাতা দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কামাল আহমেদ আরো বলেন, ‘টিআরপি এবং পত্রিকার সার্কুলেশনের মধ্যে বড় ধরনের জালিয়াতি হয়। যার প্রমাণ দিয়েছে সংস্কার কমিশন।’
এছাড়াও সংবাদপত্রের ওপর কর্পোরেট ট্যাক্স সাড়ে ২৭% তুলে দেওয়ার সুপারিশও করা হয়েছে বলে জানা গেছে।