বিচারের দীর্ঘসূত্রতায় অনেক সময় পার পেয়ে যায় ধর্ষক। সমাজে নিগ্রহের মুখে পড়তে হয় ধর্ষণের শিকার নারীকে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত বেশ কয়েকটি ধর্ষণের ঘটনায় নড়ে চড়ে বসেছে সরকার। আনা হচ্ছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কার্যকর পরিবর্তন। বিশেষ করে ডিএনএ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে করতে যাতে বিচারে জট লেগে না যায় সেজন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ (সোমবার, ১৭ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেন সরকারের দুই উপদেষ্টা। বন ও পরিবেশ উপদেষ্টা রিজুয়ানা হাসান জানান, দ্রুততার সাথে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম এবং রাজশাহীতে আরও দু'টি ল্যাব স্থাপন করা হবে।
এছাড়া আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, 'ধর্ষণের সংজ্ঞায় বেশ কয়েকটি পরিবর্তন হচ্ছে। শুধু পুরুষের দ্বারা নয়, বরং যে কারো দ্বারা যৌন নিপীড়ন এবং বলৎকারকেও ধর্ষণের সংজ্ঞায় যুক্ত করা হচ্ছে। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ এবং জোরপূর্বক ধর্ষণ- এই দুটি অপরাধও আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে সংশোধিত আইনে।'
শুধু শিশু ধর্ষণের বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে কাউকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেলে, মামলাকারীর বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান আইন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, 'শুধু শিশু ধর্ষণের বিচার করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এ আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন হবে।
বৃহস্পতিবার সংশোধিত এই আইনের চূড়ান্ত অনুমোদন দিবে উপদেষ্টা পরিষদ। তার পরদিনই প্রকাশ করা হবে গেজেট।