মাগুরার নিজ গ্রামেই আছিয়াকে দাফন, এলাকায় শোকের মাতম

.
দেশে এখন
0

দুই দফা জানাজা শেষে নিজ গ্রামেই দাফন করা হলো মাগুরায় নির্যাতিত শিশু আছিয়াকে। শিশুটির গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরের সোনাইকুণ্ডীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে দাফন সম্পন্ন হয়। আছিয়ার মৃত্যুতে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় শোকের মাতম। কয়েক হাজার মানুষের উপস্থিতি আর কান্নায় তাকে শেষ বিদায় জানানো হয়।

আজ (বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় শহরের নোমানী ময়দানে শিশু আছিয়ার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে সেখান থেকে নেয়া হয় নিজ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এশার নামাজের পর শ্রীপুরের সোনাইকুণ্ডীতে তাকে দাফন করা হয়।

এদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা। রাত পৌনে ৮টার দিকে বাড়িটিতে আগুন দেয়া হয়।

আরো পড়ুন: নরপশুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি: মির্জা ফখরুল

এর আগে শিশুটির মরদেহ দাফনের জন্য ঢাকা থেকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার যোগে নিজ জেলায় নেয়া হয়। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে মরদেহ বহনকারী হেলিকপ্টার মাগুরায় পোঁছায়।

বিকেলে সিএমএইচ থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে নেয়া হয়। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে মাগুরায় গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয় শিশুটির মরদেহ।

সন্ধ্যায় সোয়া ৬টায় মরদেহবাহী হেলিকপ্টার মাগুরায় পৌঁছায়। সন্ধ্যায় প্রায় একই সময়ে আরেকটি হেলিকপ্টারে মাগুরায় যান জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও খেলাফত মজলিসের আমির মামুনুল হক।

শিশু আছিয়ার মরদেহ এলাকায় পৌঁছেছে শুনে এলাকায় শোকের মাতম নামে। কান্নায় ভেঙে পড়েন শিশুটির স্বজন-প্রতিবেশীরা। বিকেল থেকেই তার বাড়িতে জড়ো হন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ এলাকাবাসী। মাগুরার বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ ছুটে যান শিশুটির বাড়িতে। ছেলে-বুড়ো সবার মুখে একটাই দাবি- ধর্ষকের ফাঁসি চাই, ফাঁসি।

মরদেহের সঙ্গে হেলিকপ্টারে আছিয়ার মায়ের সঙ্গে যান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

বিমান থেকে নামার পর উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘এটা রাষ্ট্র বা সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে দেখছে। কারণ এত ছোট্ট বাচ্চা একটা মেয়ের ধর্ষিত হওয়া মেনে নেয়া যায় না, এটা কারও জন্য মেনে নেয়া যায় না। শিশুটি আমাদেরই মেয়ে, আমরা সেভাবেই দেখছি।’

আজ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরায় নির্যাতিত শিশু।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। কন্যাশিশু আছিয়ার বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়তো। রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে বড় বোনের বাড়ি মাগুরা শহরে বেড়াতে আসে। সেখানেই বড় বোনের শ্বশুরের লালসার শিকার হয় ৮ বছরের শিশুটি।

আসু