গত বেশকিছুদিন ধরেই উঠে আসছিল নারী হেনস্তা ও ধর্ষণের ঘটনার মতো অভিযোগ। এর মাঝেই মাগুরায় ঘটে ৮ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার ঘটনা। যেখানে জড়িত শিশুটিরই বোনের স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুর। যা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সামাজিক মাধ্যমসহ সর্বত্র।
দেশব্যাপী নারী নিপীড়ন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে শনিবার দিবাগত রাতে হঠাৎ করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুফিয়া কামাল হলের নারী শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মিছিল নিয়ে বের হন। তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। এরপর হল পাড়া থেকে শিক্ষার্থীদের মিছিল বের হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন।
বিক্ষোভে স্লোগান ওঠে, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, ধর্ষকের ফাঁসি চাই', 'আমার সোনার বাংলায়, ধর্ষকদের ঠাঁই নাই।’
শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রতিক যেসব ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেখতে চান তারা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘এই সোনার বাংলায় দর্শকের কোনো স্থান হবে না। প্রত্যেকদিন রীতিমতো একটার পর একটা ঘটনা নেয়া যাচ্ছে না।’
আরেকজন বলেন, ‘দর্শকের ফাঁসির দাবিতে মূলত আমরা এখানে এসেছি।’
এসময় প্রতিবাদ সভায় দেখা যায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের। নারী শিক্ষার্থীদের নেতৃত্ব দেন একই সংগঠনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা। তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে ধর্ষকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আজ সন্ধ্যায় মশাল মিছিলের ঘোষণাও দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে থেকে আমরা ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ ঘোষণা করলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠনের মাধ্যমে ধর্ষকদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। পাশাপাশি আজ সন্ধ্যায় আমরা পুনরায় মশাল মিছিল করবো।’
অন্যদিকে, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে ক্যাম্পাসে।