২৬ ফেব্রুয়ারি যে মধুর ক্যান্টিনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের আত্মপ্রকাশ ঘটে সেই একই জায়গায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সাথে পরিচিতি সভার আয়োজন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের।
ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়নসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল আটটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা এই সভায় যোগ দিয়ে নতুন এই ছাত্র সংগঠনকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তুলে ধরেন তাদের প্রত্যাশার কথা। বলেন শিক্ষার্থীদের নিয়ে সুষ্ঠু ধারার এই রাজনীতিকে ধরে রাখতে চলমান রাখতে হবে সহবস্থান ও রাজনৈতিক ঐক্য।
ঢাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানসুরা আলম বলেন, 'সবাইকে সাথে নিয়ে তারা সুষ্ঠু ধারা রাজনীতি, মানুষের কল্যাণের রাজনীতি, শিক্ষার্থীদের কল্যাণের রাজনীতি করে যাবে, সেটিই আমরা প্রত্যাশা রাখবো তাদের কাছ থেকে।'
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাবি সেক্রেটারি মহিউদ্দিন খান বলেন, 'নতুন ছাত্র সংগঠনের এই আগমন আমাদের সহাবস্থানের জায়গাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষার্থীদের যে দাবিগুলো আছে সেগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ নতুন সংগঠন দৃঢ়ভাবে কাজ করবে।'
এ সময় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের, দাসত্ব এবং অপরাজনীতির বিরুদ্ধে লড়াই চলমান রেখে বিভাজনকে ভুলে আগামীতে ঐক্যের বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
আব্দুল কাদের বলেন, 'আমাদের যে দাসত্বের কালচার, সে দাসত্বের কালচারের বিরুদ্ধে, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে আমরা যুগযুগ ধরে যত ছাত্র সংগঠনের নেতারা এখানে বসে আছেন, আমরা সবাই লড়াই করেছি। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আগামীর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে এগিয়ে যাবো।'
আগামীর বাংলাদেশে মধ্যমপন্থার রাজনীতির মাধ্যমে সহাবস্থান এবং ঐক্যমত্যের রাজনীতি বজায় রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সংগঠনটির আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।
তিনি বলেন, 'আমরা একটি মধ্যমপন্থী ছাত্র সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশের কাজ করবো। সেখানে আমরা দীর্ঘদিনের আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যে বাইনারি রাজনীতি ছিল তার বাইরে গিয়ে এখানকার ছাত্রদের এখানকার জনগণের রাজনীতি আমরা প্রস্তাবনা করছি।'
অনুষ্ঠান শেষে এবার রমজানে মাসব্যাপী আবারও গণ ইফতার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ।
এর আগে দুপুরে রায়েরবাজারে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করে সংগঠনটি।