জানা যায়, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতাল এবং বাংলাদেশ কিডস হার্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অধ্যাপক) ডাক্তার নুরুন নাহার ফাতেমার (অবসরপ্রাপ্ত) সার্বিক প্রচেষ্টায় মাহদী নামের ২৩ বছরের একটি ছেলের হার্টে (মাইভ্যাল) নামের একটি পালমোনারি ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই ভালভটি আজকে সর্বপ্রথম পালমোনারি ভালভ পজিশনে প্রতিস্থাপিত হলো।
মাহাদী জন্ম থেকেই জটিল হৃদরোগে ভুগছিল। ২০০২ সালে ভারত থেকে সর্বপ্রথম তার ওপেন হার্ট সার্জারি করা হয়। এরপর কিছুদিন সে সুস্থ থাকে। কিন্তু আট বছর পর আবারো তার বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তখন তাকে পুনরায় ভারতে রেফার করা হয় এবং তার হার্টে সার্জারির মাধ্যমে একটি পালমোনারি ভালভ প্রতিস্থাপন করা হয়।
পাঁচ ছয় বছর ভালো থাকার পর ভালভের সমস্যা দেখা দিতে থাকে এবং সেটি সরু হয়ে যায়। মাহদী তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। এ কারণে বারবার হার্টের সার্জারির বিষয়ে তারা ভীত হয়ে পড়েন।
এ সময় কিডস হার্ট ফাউন্ডেশন বিনা অপারেশনে ভালভ প্রতিস্থাপনের জন্য চেষ্টা করতে থাকে এবং মেরিল কোম্পানির সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে মাইভ্যাল সংগ্রহ করে। প্রথম কেস হিসেবে ভারতের ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট ডাক্তার শিভাকুমার কথানডাম ভালভটি প্রতিস্থাপনে সহায়তা করেন।
ভালভ প্রতিস্থাপনের পর মাহদী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আছে এবং আগামী দুইদিন পরেই তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।