দীর্ঘ ১৫ বছরের বেশি সময় পর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পরিবর্তন হয়েছে সরকার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে পালাতে বাধ্য করে শেখ হাসিনাকে।
সেদিন শিক্ষার্থীরাই জাতির শিক্ষক হয়ে পথ দেখিয়েছিলেন নতুন বাংলাদেশের। এবার ৩৬ জুলাইয়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীরা আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনৈতিক দল করার ঘোষণা দিয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণার ঠিক আগ মুহূর্তে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন নাগরিক কমিটির নেতারা। যেখানে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও সেনা সদস্যরা তুলে ধরেন তাদের প্রত্যাশা।
একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা বলেন, 'জাতীয় নাগরিক কমিটির মাধ্যমে তরুণদের নেতৃত্বে খুব শিগগিরই একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। উক্ত রাজনৈতিক দলকে আমরা প্রাক্তন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সমর্থন করছি।'
পরে কথা বলেন নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি জানান, নতুন দলে পরিবারতন্ত্র থাকবে না।
সারজিস আলম বলেন, 'আমরা যে রাজনৈতিক দলটি করতে যাচ্ছি এখানে কোনো পরিবারতন্ত্র থাকবে না। বাপ নেতা হলে ছেলে নেতা হবে, এই ট্রেডিশন আর থাকবে না।'
বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে অস্ত্রের মহড়া বাড়ছে এমন অভিযোগ করে নাসিরউদ্দিন পাটওয়ারী বলেন, ছাত্র সংগঠনগুলো ধীরে না চললে পরিণতি হবে ছাত্রলীগের মতোই।
দেশি বিদেশি শক্তি গণতন্ত্রের পথে বাধা হলে দেশের মানুষ বিপ্লবের দিকে এগিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক।
নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, 'বাংলাদেশের ভেতরে ও বাইরে যেসব শক্তি বাংলাদেশকে অকার্যকর করার জন্য এখনও পাঁয়তারা করে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে বর্তমানে আমরা এই মাসের মধ্যে একটি দল ঘোষণা করবো যারা পলিটিক্যালভাবে অ্যাক্টিভ রয়েছেন। তাদের মধ্য দিয়ে আমরা গণতান্ত্রিক যাত্রা শুরু করবো।'
নতুন রাজনৈতিক দল দেশ ও জনগণের স্বার্থে কাজ করবে আশা প্রকাশ করে বক্তারা পাড়া-মহল্লায় নতুন রাজনৈতিক দলের জন্য গণসংযোগ শুরুর আহ্বান জানান।