ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। দ্রুতগামী যানবাহনের গন্তব্যে যাওয়ার প্রতিযোগিতা চলে এখানে। চালকের অসতর্কতা মুহূর্তেই বড় দুর্ঘটনার কারণ এই মহাসড়কে।
গেল ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার ভোর ৬টা। ভোরের আলো কেবল ফুটছিল তখন। রাজশাহী থেকে নিজের শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে পদুয়ার বাজার ওভার ইউটার্ন এলাকায় বাস থেকে নামেন এখন টিভির রাজশাহী ব্যুরো রিপোর্টার মাসুমা ইসলাম।
স্বামী সৈকতসহ একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠামাত্রই পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি সাদা মাইক্রোবাস। আর তখনই সিএনজি থেকে ছিটকে মহাসড়কে পড়েন মাসুমা, তার স্বামী ও সিএনজি চালক। রাস্তায় কোনো পথচারী না থাকলেও অদূরে দু'টি দোকান থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন রুহুল আমিন ও রাসেল।
বেশকিছু সময় সড়কে পড়ে ছিল মাসুমা। এসময় ঘাতক মাইক্রোবাসটি দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। অভিযোগ রয়েছে, দূরপাল্লার পরিবহনগুলো পদুয়ার বাজার থেকে বেশ দূরে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ও ছিনতাইয়ের শিকার হন যাত্রীরা।
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, মাইক্রোবাসটি নতুন ও সাদা রঙের। জনৈক প্রবাসীকে নিয়ে মাইক্রোবাসটি ঢাকা থেকে ফিরছিল বলেও জানা গেছে। গাড়ির নম্বর প্লেটের শেষ তিন ডিজিট ৪৮৫। এদিকে ঘাতক মাইক্রোবাস ও চালককে ধরতে তৎপরতার কথা জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা রিজিওনের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো. খাইরুল আলম বলেন, ‘অধিক গুরুত্ব দিয়ে এ বিষয়টা দেখবো। পাশাপাশি আমাদের অন্যান্য যে ইউনিট রয়েছে জেলা পুলিশ তারা আমাদের সাহায্য করবে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সিসিটিভি ক্যামেরা আছে। ফলে কী ঘটনা ঘটেছে বা এর পিছনে কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না সব বিষয় তদন্তের মাধ্যমে আমরা নিয়ে আসবো।’
সড়কে চালকের অসতর্কতা ও অদক্ষতায় যে তাজা প্রাণ ঝরে যায়- তার দগদগে স্মৃতি বাকি জীবন বয়ে বেড়াতে হয় স্বজনদের। প্রতিদিন মাসুমার মতোই অনেক প্রাণ ঝরছে মহাসড়কে। তবুও ফিরছে না শৃঙ্খলা। ঘাতক চালককে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে এমন প্রত্যাশাই সবার।