বৈঠকের শুরুতে সভাপতির বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, 'যে স্বপ্নের পেছনে আমাদের তরুণরা আত্নত্যাগ করেছে, আমরা যেন তেমন একটা দেশ গড়তে পারি। সংস্কার কমিশনের সদস্যরা এমনভাবে প্রস্তাব তৈরি করেছেন, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বর্তমানদের প্রতি।'
তিনি বলেন, 'সংস্কার কমিশনের সদস্যরা তাদের অভিজ্ঞতার আলোকে প্রস্তাব তৈরি করেছেন। কিন্তু রাজনীতিকদেরই সিদ্ধান্ত দিতে হবে কতটুকু, কখন, কীভাবে এসব প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে।'
তিনি আরো বলেন, 'কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দেয়ার জন্য ঐকমত্য কমিশন নয়। সংস্কারের গুরুত্ব আমরা সবাই বুঝি, কিন্তু আমাদের তা গ্রহণ করতে হবে, কাজে লাগাতে হবে।'
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, 'একটা লণ্ডভণ্ড অবস্থায় অবস্থায় দায়িত্ব নিয়েছি, চেষ্টা করেছি এটাকে কোনোভাবে সচল করতে। কিন্তু এই ছয় মাসের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতেও আমাদের সবাইকে প্রচণ্ড সাহস দেবে। দলমত নির্বিশেষে কী করে আমরা একত্র হতে পারি?'
ঐক্য নষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, 'যারা পরাজিত হয়েছে, তারা ফিরে আসার জন্য ব্যাকুল, সেজন্য নানা মতভেদ থাকলেও ঐক্য নষ্ট করা যাবে না।'
তিনি বলেন, 'যারা গণঅভ্যুত্থানকে ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছে, তারা বহু গল্প রচনা করেছে, টিকাতে পারে নি। শেষমেষ ট্রাম্পের কাছেও গল্প চালাতে ব্যর্থ হয়েছে।'
আজকের বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নিয়েছে।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণ ফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা এসেছেন।