আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাসিনা-পরিবার ও আ.লীগের নেতাকর্মীর সম্পত্তিতে হামলা না করার আহ্বান

দেশে এখন
0

শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগের কোনো নেতার ঘর বাড়ি ও সম্পত্তিতে রাজনৈতিক অজুহাতে আর কোনো হামলা না করতে সকল নাগরিকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

মূলত গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেন। এর প্রতিবাদে সেদিন রাত ৯টায় ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভোলিউশনারি অ্যালায়েন্স।

এ সময় বিপ্লবী স্লোগানে ধানমন্ডি ৩২ এ শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আগুন দেয়া হয়, ভাঙা হয় বুলডোজার দিয়ে। ওইদিন রাতে শেখ হাসিনার বাসভবন সুধাসদনেও আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলায় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বাড়িতেও চালানো হয় ভাঙচুর ও করা হয় অগ্নিসংযোগ।

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে আজ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেয়া হয়েছে।

এতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সাথে সম্পৃক্ত সম্পত্তি এবং ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আর কোনো হামলা হবে না তা নিশ্চিত করতে হবে।’

বিগত দিনে সংগঠিত হামলাকে কেন্দ্র করে মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, ‘তারা দীর্ঘদিন হাসিনা সরকারের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে আসছে। এসব তাদের এতদিনের ক্ষোভেরই বহিঃপ্রকাশ। সরকার তাদের এই অনুভূতিকে বুঝতে পারছে। এমনকি ভারতে বসে হাসিনা বর্তমান বাংলাদেশ সংস্কারে বাধা দিচ্ছে তাও মানুষকে ক্ষুব্ধ করে তুলছে।’

তিনি বলেন, ‘হাসিনার এসব কার্যকলাপের কারণেই জনগণের মনে ক্ষোভ বাড়ছে এবং এমন হামলা-ভাঙচুর চালানো হয়েছে।’

এর আগে গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার সারা দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা শক্তভাবে প্রতিহত করবে।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অন্তর্বর্তী সরকার গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করছে। সরকার এ ধরনের কর্মকাণ্ড শক্তভাবে প্রতিহত করবে।’

এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় প্রস্তুত। কোনো ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে দায়ী ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে।

এএইচ