প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ১৫ বছর সাধারণ মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ণ করা হয়েছিল। গণ আন্দোলনে কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ তার ইতিহাসে এক পুনর্জন্মের সাক্ষী হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১১৮ জন শিশুসহ প্রায় ২ হাজার মানুষের জীবনদানের মাধ্যমে, ১৯৭১ এর পর তরুণ যুবাদের নেতৃত্বে নিষ্ঠুর কর্তৃত্ববাদী শাসকের পতন হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সুদূরপ্রসারী সংস্কারের মাধ্যমে অর্থনীতির প্রতিটা ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে অন্তর্বর্তী সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
বিমসটেক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমন বিষয়ক সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে ৭ সদস্যদের জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশন গঠন করেছে সরকার।’
তিনি আরো বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা এ সরকারের প্রধান এজেন্ডা। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হওয়া মাত্র একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আয়োজন করা হবে জনগণকে আমরা এ নিশ্চয়তা দিয়েছি।
সম্মেলনে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ ও প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ পুনর্গঠনের এ পথে আমরা নারী হোক, ক্ষুদ্র ধর্মীয় বা নৃগোষ্ঠী হোক সবার অধিকার নিশ্চিত করতে চাই।’