ফেনীর আড়াইশো শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল। তবে, জনবল রয়েছে মাত্র ১৫০ শয্যার। এমনকি ৩ মাসেরও বেশি সময় ধরে নষ্ট লিফট, অকেজো হয়ে পড়ে আছে জেনারেটরও। এতে জেলার লাখো মানুষের একমাত্র ভরসার হাসপাতালে মিলছে না কাঙ্খিত সেবা।
রোগী ও স্বজনরা জানান, যে কয়জন চিকিৎসক আছে তারাও ৫ আগস্টের পর থেকে অনিয়মিত। প্রায় সব মেশিন নষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে দন্ত সেবা, চর্ম রোগসহ অনেক রোগের পরীক্ষা করানো যায় না। এছাড়া মেশিন নষ্ট কিংবা অপারেটর না থাকায় ফিরে যেতে হয় রোগীদের।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ৩০৬টি পদের বিপরীতে জনবল আছে ২০৬ পদে। এক বছরের বেশি সময় ধরে হাসপাতালে নেই মেডিসিন, শিশু রোগ, রেডিওলজি, প্যাথলজি, সার্জারি, দন্ত, চক্ষু, চর্ম ও যৌন বিশেষজ্ঞ। শিশু বিভাগে রয়েছে পর্যাপ্ত চিকিৎসক সংকট। ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন পান না আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, শূন্য পদে চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগের জন্য গেল সরকারের আমলে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার আসিফ ইকবাল বলেন, ‘আমরা বিদ্যমান জনবল দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছি আরো জনবল দেয়া হলে আমরা সেবার আরো ভালোভাবে দিতে পারব। আমরা হাসপাতালে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চাই।’
স্থানীয়রা মনে করছেন, হাসপাতালে পূর্ণাঙ্গ জনবল নিয়োগের পাশাপাশি মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করলে কাটতে পারে সংকট।