এখন জনপদে , কৃষি
দেশে এখন
0

উপকূলীয় অঞ্চলে বাড়ছে তরমুজের আবাদ

মাটি ও আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় উপকূলে বাড়ছে তরমুজের আবাদ। আগাম ও গ্রীষ্মকালীন মিলিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। যেখান থেকে এবার দেড়শ কোটি টাকা বাণিজ্যের আশা কৃষি বিভাগের। তবে, তরমুজ চাষে সমৃদ্ধির হাতছানি থাকলেও বিধ্বস্ত ও দুর্বল বেড়িবাঁধ দুর্যোগ-জলোচ্ছ্বাসে খেত তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা হাজারো কৃষকের।

সমুদ্র তীরবর্তী পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মাঠের পর মাঠ ছেয়ে আছে তরমুজের লতানো গাছে। মাটি ও আবহাওয়া তরমুজ চাষে অনুকূল হওয়ায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় উপকূলীয় উপজেলাটিতে বাড়ছে আগাম জাতের তরমুজের আবাদ।

কলাপাড়ায় চলতি মৌসুমে প্রায় ৫শ হেক্টর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ হয়েছে। আগামী দেড় থেকে দু'সপ্তাহ পর এসব তরমুজ বিক্রির আশা কৃষকদের। তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় কলাপাড়ায় বাড়ছে চাষির সংখ্যাও।

আগাম জাত ছাড়াও এ অঞ্চলে বিস্তীর্ণ এলাকায় গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ হয়। এখন জমি প্রস্তুত ও চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা। গাছ সুস্থ রাখতে ও বাড়তি ফলনের আশায় যত্নের কমতি রাখছেন না কৃষক।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এবছর 'বিগফ্যামিলি, ড্রাগন, হিমেল সুগার ও ব্ল্যাক কুইনসহ উন্নত জাতের তরমুজের চাষ বেশি হচ্ছে। ছত্রাক ও ভাইরাসজনিত রোগবালাই থেকে তরমুজ রক্ষায় সার্বক্ষণিক পরামর্শসহ এবং সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস কৃষি কর্মকর্তার।

পটুয়াখালী কলাপাড়া কৃষি কর্মকর্তা মো. আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমাদের উপ- সহকারী অফিসার যারা ইউনিয়নের পর্যায়ে রয়েছে তারা এবং আমরা সকলে মিলে কাজ করছি, যাতে এই তরমুজ যেন ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত না হয় বা ছত্রাকজনিত কোনো অসুখে আক্রান্ত যেন না হয়। এজন্য সব সময় আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’

তবে, তরমুজ চাষে সমৃদ্ধির হাতছানি থাকলেও বিধ্বস্ত ও দুর্বল বেড়িবাঁধ দুর্যোগ-জলোচ্ছ্বাসে খেত তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কাতেও দিন কাটছে হাজারো কৃষকের। তাদের দাবি ফসল ও জীবন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার।

আগাম ও গ্রীষ্মকালীন মিলিয়ে চলতি মৌসুমে কলাপাড়ায় প্রায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। কোনও দুর্যোগ বা জলোচ্ছ্বাস হানা না দিলে যেখান থেকে বছর জুড়ে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রির আশা।

এএম