এখন জনপদে
দেশে এখন
0

উত্তরবঙ্গের ফোরলেন মহাসড়কে যাতায়াতের সময় কমলেও বেড়েছে দুর্ঘটনা

ফোরলেন সড়কে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকা যাতায়াতে সময় কমলেও বেড়েছে দুর্ঘটনা। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মহাসড়কের বগুড়া জেলায় দুর্ঘটনা ১৩৩টি। প্রাণ ঝরেছে ১১৭ জনের। নতুন সড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ছোট-বড় সব যানবাহনই চলছে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে। দুর্ঘটনা কমাতে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর দাবি যাত্রী-চালকদের।

দেশের উত্তরের জনপদের সাথে রাজধানীর যোগাযোগ সহজ করেছে চার লেনের সড়ক পথ। সরু পথে আর লাগে না দীর্ঘ সময়, যানজট নেই। বেড়েছে গতি। ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক এখন এশিয়ান হাইওয়ে।

পথে যুক্ত হয়েছে আন্ডারপাস, ওভারপাস, ফ্লাইওভারসহ আধুনিক সড়কের সবকিছু। তবে আগে ভুলে ছোট দুর্ঘটনা ঘটলেও এখন গতি বাড়ায় সামান্য ভুলেই ঘটছে বড় দুর্ঘটনা। সড়কে নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর পাশাপাশি অদক্ষদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা বলছেন চালকরা।

তথ্য বলছে, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মহাসড়কের বগুড়া অংশে দুর্ঘটনা হয়েছে ৯৩ টি। এতে প্রাণ ঝরেছে ৭৬ জনের। সড়কের উন্নয়নের পাশাপাশি চালকের দক্ষতা বাড়ানো প্রয়োজন। চালকরা শুধু লাইসেন্স নবায়নের সময় দায়সারা কর্মশালায় যুক্ত হন।

বগুড়া বিআরটিএ মোটরযান পরিদর্শক মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন,‘বিআরটিএ আসলে সিগন্যালের ওপর জোর দিচ্ছে। আগামীতে ফোরলেনে শুধু সিগন্যাল থাকবে। সেক্ষেত্রে হাইওয়েতে সর্বোচ্চ গতিসীমা কত, কততে যান চালালে দুর্ঘটনা ঘটবে না এ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।’

মহাসড়কে দূরপাল্লার ভারি যানবাহনের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি নজরে আসে হালকা যানের বেপরোয়া পথচলা।

হেলমেট ছাড়াই উল্টো পথে ফ্লাইওভারে উঠে পড়ছে মোটরসাইকেল আরোহী। এছাড়া ভারি যানের সাথে পাল্লা দিয়ে থাকছে ভ্যান, সাইকেলের মতো হালকা যান। মহাসড়কেতো উঠেছেই তাও আবার ওভারলোড নিয়ে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ।

বগুড়া অঞ্চলের হাইওয়ে পুলিশের পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত লোকবল ও লজিস্টিকের সক্ষমতা এখনো অতটা তৈরি হয়নি। তবে আমরা সচেতনতা তৈরি চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের সামনে যা ধরা পড়ছে সেসবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

২০২৪ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বগুড়ার আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ১৩৩ টি। তাতে মৃত্যু হয়েছে ১১৭ জনের।

এএম