বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের ৩য় দিন সুইজারল্যান্ডের দাভোসে সাইড লাইনে বেশ কয়েকটি বৈঠকে অংশ নেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অভ্যুত্থানে সংঘটিত অপরাধ তদন্ত করার জন্য জাতিসংঘের জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ককে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
তুর্ক বলেন, জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন অফিস থেকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে নৃশংসতার উপর তথ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে আগামী মাসেই।
এসময় ড. ইউনূস বলেন, ৬টি প্রধান স্বাধীন কমিশনের প্রতিবেদন প্রায় একই সময়ে প্রকাশিত হবে। যেখানে একটি অপরের পরিপূরক হবে।
পরে মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগের সাথে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা । এসময় তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গে যুক্ত অলিগার্ক ও রাজনীতিবিদরা ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার পাচার করেছে।
তারা এখন বাংলাদেশ সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য ছড়াতে ফেসবুককে ব্যবহার করছে। তাই বাংলাদেশে ফেসবুকে ভুয়া তথ্য মোকাবেলায় মেটাকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান।
এদিকে ইউএই-ভিত্তিক গ্লোবাল লজিস্টিক সরবরাহকারী ডিপি ওয়ার্ল্ডের গ্রুপ চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েমের সাথেও বৈঠক করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৈঠকে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে নতুন বন্দর নির্মাণে সহায়তা করার পাশাপাশি বাংলাদেশের শিপিং শিল্পে বড় বিনিয়োগ করতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনা বজার্ডের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে জুলাই অভ্যুত্থান, সংস্কার উদ্যোগ এবং দেশের অর্থনীতি নিয়ে আলাপ হয়।
এসময় বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে চায় বিশ্বব্যাংক। আলাপচারিতায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বৈঠকে বিশেষ সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, গণঅভ্যুত্থানে কারো কোন পরিকল্পনা ছিল না।
চাকরি থেকে কোটা ব্যবস্থা বিলুপ্ত করতে শিক্ষার্থীদের সাধারণ আন্দোলন জন আন্দোলনে রূপ নিয়েছিলো। এসময় আগামীর নির্বাচন ইস্যুতেও কথা বলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ তৈরি হয়েছে এবং ব্যবসার শর্ত সহজ করা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। বিজনেসের সে ক্লাইমেটটা তৈরি হয়েছে। ব্যবসা করার যত কন্ডিশন রয়েছে সেগুলো যত সহজ করা যায় তা করা হয়েছে। সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে।’
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনের পাশাপাশি সাইড লাইনে ৪০ টি কর্মসূচি শেষে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার।