একপর্যায়ে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে একে একে মুক্তি পান বিডিআর সদস্যরা। দীর্ঘ ১৫ বছর পর মুক্তি পাওয়ায় ফুলের মালা দিয়ে তাদের বরণ করেন নেন অপেক্ষারত স্বজনরা। অবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন অনেকে। আনন্দ অশ্রুতে সিক্ত হয় তৃষ্ণার্ত চোখ।
মুক্তি পাওয়ার পর কারা ফটকে দাঁড়িয়ে বিচারিক প্রক্রিয়ায় খালাস পাওয়ার প্রত্যাশা করেন জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা। যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অন্তরীণ থাকার বেদনার কথাও জানান তারা। একই সঙ্গে আটক সহকর্মীদেরও মুক্তি দাবি করেন।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এ ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। এর মধ্যে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ১৭৮ জন বিডিআর সদস্যকে জামিনে মুক্তি দেন আদালত।
গেল ৫ আগস্টে ছাত্রজনতার গণ অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন করে শুরু করার দাবি ওঠে। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যান শহিদ পরিবারের সদস্যরা।