অপরাধ ও আদালত
দেশে এখন
0

‘সাত দিনের মধ্যে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হবে’

সাইবার আইনের ১১ মামলা প্রত্যাহার

আগামী ৭ দিনের মধ্যে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করা হবে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। আজ (মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ দিনের মধ্যে সব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করা হবে। ৫ আগস্টের পর সরকার একটি রাজনৈতিক মামলাও করেনি।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘সাইবার আইনের স্পিচ অফেন্স সংক্রান্ত ১১৩টি মামলা পাবলিক প্রসিকিউটরদের মাধ্যমে প্রত্যাহার করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আগামী দু সপ্তাহের মধ্যে অবশিষ্ট মামলা প্রত্যাহার করা হবে।’

উপদেষ্টা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সকল পাবলিক প্রসিকিউটর পালিয়ে যাওয়ায় এসব সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়েছে। আন্দোলনের আগে পরে এসব মামলা হতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘সুপ্রিমকোর্ট বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ ২০২৫ এর প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে চরম অস্বচ্ছতার জন্য স্বৈরাচার আমলে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে।’

ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘নতুন অধ্যাদেশে উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগে একটি কাউন্সিল করার প্রস্তাব আছে। এ কাউন্সিলে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের কয়েকজন বিচারপতিসহ ৬ সদস্যের হবে, নাম হবে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল।’

অন্তর্বর্তী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, ‘৩৬ ধরনের ডকুমেন্ট আইন মন্ত্রণালয় সত্যায়ন করে। এটা আগে ম্যানুয়াল থাকায় দিনের পর দিন মানুষের ভোগান্তি হতো। এটা অনলাইন করা হয়েছে, এখন দুই একদিনের মধ্যে সব কাজ হয়ে যাবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অধ্যাপক বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর এত বড় গণহত্যা আর গণঅভ্যুত্থানের পর যে রাজনৈতিক সরকার আসবে তারা আগের মত খারাপ হবে না বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

তিনি বলেন, ‘বিচারকাজের সঙ্গে নির্বাচনের সম্পর্ক নাই। সরকার জুলাই আগস্ট গণহত্যার বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২ স্থাপনেরও চেষ্টা করছে।’

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যাবর্তন চুক্তির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হবে বলেও জানান এ উপদেষ্টা। তাকে ফেরাতে সরকার যা যা করার তাই করবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এএইচ