বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে দেয়া ১০টি কৃষিপণ্যের এ প্যাকেজ স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ (মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এ কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
মঙ্গলবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত সভা শেষ করে অর্থ উপদেষ্টা জানান, বাজার নিয়ন্ত্রণে আসায় কৃষিপণ্যের এই বিশেষ ওএমএস কার্যক্রমটির মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না। আর সরকার মনে করছে বাজার নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে কার্যক্রমটির তেমন কোনো প্রভাব নেই।
তিনি বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে আমরা বিশেষ ওএমএসটা করেছিলাম। বেশ সাকসেসফুলি কাজটা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট দিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় বিশেষ এই ওএমএসের আয়োজন করেছিল। ভবিষ্যতে যদি আবার কোনো প্রয়োজন দেখা দেয় তখন আবারো ওএমএসের বিষয়টি বিবেচনা করা যাবে।’
চালের বাজার নিয়েও কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, সাপ্লাই চেইনটা এখনও ব্রোকেন। মোকামে থাকে, রিটেইলাররা ঠিক মতো আনে না। এটা সরবরাহের সংকট নয়। তবুও চালের দামটা কিছুটা কমেছে।’
সবপক্ষ থেকে সরকারের ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে যে সমালোচনা তা নিয়েও অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্য চান সাংবাদিকেরা। তিনি আবারো দাবি করেন, যেভাবে ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে তাতে নিত্যপণ্যের ওপর প্রভাব পড়বে না।
মঙ্গলবারের ক্রয় সংক্রান্ত বৈঠকে, বৈঠকে ডিএপি, ইউরিয়াসহ সার কেনার কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এ ব্যাপারে উপদেষ্টা বলেন, তারা সারের একটা বাফার স্টক করার চেষ্টা করছে। কারণ, সরকারিভাবে সারের মজুত না থাকলে বেসরকারি উদ্যোক্তারা দাম বাড়িয়ে দেয়।
ওএমএসের প্যাকেজে থাকা পণ্যগুলো হলো, ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা। এছাড়া এক কেজি মিষ্টি কুমড়া, এক কেজি করলা, এক কেজি পটল, এক কেজি কচুরমুখী, তিন কেজি পেঁপে, ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচ পাওয়া যাবে ২৫০ টাকায়। এ পুরো প্যাকেজই ক্রেতাকে কিনতে হতো একসাথে।