আজ (সোমবার, ২০ জানুয়ারি) ইজতেমা ময়দান ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোণে প্রস্তুত করা হচ্ছে বয়ানমঞ্চ। ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের রাস্তা মেরামত, পয়ঃনিষ্কাশনের কাজে অংশ নিচ্ছেন রাজধানীর আশপাশসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিরা।
তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শূরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, 'যারা ওলামায়ে কেরামদেরকে মহব্বত করেন, দ্বীনকে মহব্বত করেন, হকের পথে চলার চেষ্টা করেন, আলেমদের সাথে আছেন এবং তাদের তত্ত্বাবধানে তাবলীগের মেহনত করছেন তারা ধুলা বালির মধ্যেও ইজতেমা ময়দানে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যাচ্ছেন এবং আখেরি মোনাজাত পর্যন্ত এ কাজ চালিয়ে যাবেন।'
তিনি আরো বলেন, 'ইজতেমায় অংশগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বিদেশি মেহমানরা ইজতেমা ময়দানে আসা শুরু করেছেন।'
এদিকে ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমপাশে মুসল্লিদের নদী পারাপারের জন্য সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হচ্ছে অস্থায়ী ভাসমান সেতু। ইজতেমা ময়দানকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীদের পর্যবেক্ষণে রাখতে ইজতেমা ময়দানের প্রতিটি সীমানায় তৈরি করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) গাজীপুর সিটি কপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টঙ্গি স্টেশন রোড এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের প্রথম দিনে রাস্তার উপর সকল প্রকার অবৈধ অস্থায়ী দোকানপাট উচ্ছেদ এবং জরিমানা করা হয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশের প্রতিটা ফটকে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে টঙ্গীতে ছিনতাইয়ের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত পুলিশ টহলের পাশাপাশি রাখা হবে সাদা পোশাকের পুলিশি টহল।
সরকার ঘোষিত ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।