দেশে এখন
0

উচ্চ সুদের মূল্য পরিশোধে লাভের মুখ দেখেন না সুনামগঞ্জের কৃষকরা

ভাটির জেলা হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের হাজার হাজার কৃষক চাষাবাদের জন্য ঋণের ওপর নির্ভরশীল। তবে, নানা জটিলতা ও হয়রানির কারণে ব্যাংক ঋণ পান না বলে অভিযোগ কৃষকদের। এমন অবস্থায় মহাজনদের কাছ থেকে উচ্চ সুদের মূল্য শোধে লাভের মুখ দেখতে পারেন না বলে দাবি তাদের।

গেলো বছর তিন দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হন সুনামগঞ্জের কৃষকরা। কিন্তু বন্যার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও টাকার অভাবে বোরোর আবাদে বেগ পেতে হচ্ছে কৃষকদের।

জেলায় প্রায় ১০ লাখ কৃষকের বোরো আবাদের কথা থাকলেও তা অনেকাংশে সম্ভব হয়নি। অথচ সরকারি পর্যায়ে ব্যাংক গুলোতে কৃষকদের জন্য রয়েছে ঋণ সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রণোদনামূলক প্যাকেজ। তবে ব্যাংকের নানা নিয়মের বেড়াজালের কারণে ঋণের জন্য মহাজনদের দুয়ারে যাচ্ছেন কৃষকরা।

তবে স্থানীয় কৃষি ব্যাংকের দাবি, ব্যাংক থেকে কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়। চলতি মৌসুমে কৃষকদের ৭৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন তারা। এরমধ্যে ৪২ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা পেয়েছেন ৭ হাজার কৃষক।

সুনামগঞ্জ কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান বলেন, ‘কৃষকদের আমরা খুব সহজ শর্তে ঋণ দেই। আমরা ঋণগ্রহীতা ব্যাংকে আসার পর তার এনআইডি, কৃষি কার্ড এবং জমির পোর্চা থাকলেই আমরা ঋণ দিয়ে দেই।’

আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বোরো আবাদ থেকে ৯ লাখ ১৮ হাজার টন চাল উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা।

সুনামগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, ‘যারা কৃষি ঋণ নিতে আগ্রহী তারা যেন কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়াই যাতে কৃষি ঋণ পেতে পারে এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। আগ্রহী কৃষকদের তালিকা ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে।’

এ অঞ্চলে কৃষির উৎপাদন আরো বাড়াতে সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ দেয়ার দাবি প্রান্তিক কৃষকদের।

এএইচ