দেশে এখন
0

আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাথা গোজার ঠাঁই এখন আতঙ্কের নাম

বরাদ্দে অনিয়ম ও নির্মাণে দুর্নীতির কারণে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাথা গোজার ঠাঁই এখন আতঙ্কের নাম। পাঁচ বছরের মধ্যেই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ফেনীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। দ্রুত ব্যবস্থার দাবি স্থানীয় বাসিন্দা ও নাগরিক সমাজের।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মিত মুজিববর্ষের ঘরগুলোর বেহাল দশা। পাঁচ বছর না পেরুতেই খসে পড়ছে আস্তরণ, ফাটল ধরেছে দেয়ালে। সামান্য ঝড় তুফান কিংবা ঝড়ো হাওয়া হলেই নড়ে ওঠে ঘরগুলো। গৃহহীন মানুষগুলো মাথাগোঁজার ঠাঁই পেয়ে খুশি হলেও এখন দিনরাত কাটে আতঙ্কে। ঘরগুলো মেরামতের দাবি বাসিন্দাদের।

যেই ঘরগুলো একসময় ছিল গৃহহীন মানুষদের মাথা গোজার ঠাঁই, তা এখন আতঙ্কের কারণ। ঘরের দেয়ালে হাত লাগালেই খসে পড়ে আস্তরণ, ফাটল ধরেছে মেঝেতে। সামান্য বৃষ্টি হলে ফুটো টিন দিয়ে পড়ে পানি। ঝড় এলেই কেঁপে উঠে ঘরের মেঝে। এমন বেহাল দশা মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিগত সরকারের সময়ে তৈরি ফেনীর ধর্মপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলোর।

ঘর পেয়ে হতাশা ঘুচেছিল আবদুর রউফ ও মনদন মিয়ার। তবে এখন দিন কাটছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায়। এমন বেহাল দশায় বরাদ্দ পেয়েও ঘরে থাকছে না অনেক পরিবার, আশ্রয় নিচ্ছে অন্যত্র।

এসব ঘর বরাদ্দ ও নির্মাণে দুর্নীতির কারণে এমন বেহাল দশা বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। আর প্রশাসন বলছে, মেরামতসহ দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।

সুশাসনের জন্য নাগরিকের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছে যারা সেখানে ঠিকাদারির কাজ করেছে। আমরা জেনেছি তারা খুব নিম্নমানের কাজ করেছে। সেজন্য আমরা অনেক জায়গায় থেকে শুনতে পারছি যে ঘরগুলো ভেঙ্গে যাচ্ছে।’

ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা নাসরিন কান্তা বলেন, ‘যাদের মাধ্যমে ঘরগুলো তৈরি করা হয়েছে সেখান থেকে পরবর্তী কোনো নির্দেশনা বা সহায়তা আমরা পাবো কিনা সে বিষয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। তারা আমাদের যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে আমরা কাজ করব।’

ফেনীতে বিভিন্ন মেয়াদে ১ হাজার ৮২০টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

এএম