বাসচালক মো. সুমন মিয়া জামালপুরের ইসলামপুর থানার দিঘীর চরের আব্দুল মোতালেবের ছেলে।
আজ (মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মিডিয়া অফিসার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুল ইসলাম।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ ডিসেম্বর শেরপুর সদরের ভাতশালা জোড়া পাম্প এলাকায় নকলা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী যাত্রীবাহী সিএনজিকে কুড়িগ্রামের রৌমারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাস রিফাত পরিবহন (রেজি নং- ঢাকা মেট্রো- ব-১৩-২৫৫২) চাপা দেয়। পরে ঘটনাস্থলেই সিএনজিতে থাকা চালকসহ ৫ জন মারা যায়। ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসটির চালক কৌশলে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়রা দ্রুত গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। পরে আরও এক সিএনজির যাত্রী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত লোকমান হোসেনের ছেলে জিহাদ মিয়া ২৯ ডিসেম্বর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১৪ জামালপুর ও র্যাব-১ উত্তরা ক্যাম্পের যৌথ অভিযানিক দল গত ৩০ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর ঢাকার উত্তর পূর্ব থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সুমন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এবিষয়ে র্যাব জামালপুর কোম্পানির কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, আসামিকে আজ দুপুরে শেরপুর সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।