১৯৭২ সালে চুয়াডাঙ্গায় নির্মাণ করা হয় ৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল। পরবর্তীতে রোগীর চাপ সামলাতে দীর্ঘ ৩১ বছর পরে এখানে বাড়ানো হয় আরো ৫০টি শয্যা। প্রায় দুই দশক পর, কাগজে কলমে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ২৫০ টি হলেও জনবল বাড়েনি সে অনুপাতে। বহু দিনের অযত্ন আর অব্যবস্থাপনায় হাসপাতালটির এখন ভগ্নদশা।
জেলার প্রায় ১৩ লাখ মানুষের চিকিৎসার একমাত্র ভরসার জায়গা এই সদর হাসপাতাল। কিন্তু এখানে রোগীদের হয়রানির ঘটনা নিত্যদিনের। ডাক্তারের সংখ্যা যেমন প্রয়োজনের তুলনায় কম তেমনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে পাওয়া যায় না প্রয়োজনীয় সেবা।
চুয়াডাঙ্গার মা ও শিশু কেন্দ্রটি যেটা নির্মাণ করা হয় ১৯৫৯ সালে। যথাযথ ভালো মানের চিকিৎসা সেবা দেওয়ায় দুইবার পেয়েছে জাতীয় পুরস্কার। কিন্তু বর্তমানে এখানেও মেলে না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগী স্বজনরা পড়ছেন বিপাকে। ৮টি পদের বিপরীতে নেই অর্ধেক জনবলও। অনেক প্রসূতি রোগী চিকিৎসা কেন্দ্রে এসেও ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন জনবল সংকটের কারণে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জানালেন তাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কথা। তবে, এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়ার আশ্বাস দিলেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা পরিবার-পরিকল্পনা উপ-পরিচালক দীপক কুমার সাহা বলেন, ‘বর্তমানে দুইজন ট্রেনিংয়ে আছে। যশোরে ট্রেনিং শেষে তারা জয়েন করবে। তারা জয়েন করলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রমটি আমরা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব।’
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘জনবল জটিলতা নিরসনের কাজ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। ইতোমধ্যে আমাদের জনপ্রশাসনের কাজ হয়েছে, এখন এটি স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আছে আমি আশা করছি দ্রুত এই জটিলতা কেটে যাবে।’
চুয়াডাঙ্গার সাধারণ মানুষ আশা করছেন, এলাকাবাসীর কল্যাণে স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর সংকট কাটাতে দ্রুত উদ্যোগ নেবে কর্তৃপক্ষ।