কৃষি
দেশে এখন
0

উপকূলীয় চাষিদের মধ্যে মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে

ঝাঁজ ও গন্ধের জন্য বোম্বাই মরিচ সবার পছন্দ। চাহিদা বাড়ায় দিন দিন বাড়ছে এ জাতের মরিচের চাষাবাদ। যেকারণে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা দুর্যোগ সহনশীল পদ্ধতিতে অন্যান্য সবজির পাশাপাশি বোম্বাই মরিচ চাষ শুরু করেছেন। মিলছে সফলতাও। মরিচ চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের মাঝে।

সবজি উৎপাদনে সফলতার কারণে কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিচিত সবজি ইউনিয়ন নামে। পরিবেশের নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এখানকার কৃষকরা মালচিং ও পলি হাউজের মাধ্যমে সবজির চারা উৎপাদন এবং বোম্বাই মরিচের চাষ করছেন। শুধু নীলগঞ্জ ইউনিয়নে বোম্বাই মরিচ এবং কাঁচা মরিচ চাষ হচ্ছে ৫-৬ হেক্টর জমিতে।

প্রত্যেক কৃষক বোম্বাই মরিচ বিক্রি করে আয় করছেন ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। ফলে দিন দিন কলাপাড়া ও আশপাশের এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষাবাদের পরিমাণ বাড়ছে।

মাটির উঁচু বেড তৈরি করে বাঁশ, কাঠ, নেট, পলিথিনে তৈরি শেডে বৈশাখ মাসে রোপণ করা হয় মরিচের চারা। নানা পরিচর্যার পর কমপক্ষে ৮ মাস ধরে চলে মরিচ উৎপাদন ও বিক্রি। এই পেশায় জড়িত ৩ শতাধিক চাষি বছরে আয় করছেন কোটি টাকা। স্থানীয় পর্যায়ে চাষাবাদে ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করছেন কৃষি অধিদপ্তর।

কলাপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মসিউর রহমান বলেন, ‘একজন কৃষক প্রতি শতকে ১৮শ থেকে ২ হাজার ব্যয় করার মাধ্যমে তার উৎপাদন হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পরিমাণের। এতে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কলাপাড়া উপজেলার কৃষক এ মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।’

দুর্যোগ মোকাবিলার এই পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ শুরু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের।

এএম