সবজি উৎপাদনে সফলতার কারণে কলাপাড়ার নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিচিত সবজি ইউনিয়ন নামে। পরিবেশের নানা প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে এখানকার কৃষকরা মালচিং ও পলি হাউজের মাধ্যমে সবজির চারা উৎপাদন এবং বোম্বাই মরিচের চাষ করছেন। শুধু নীলগঞ্জ ইউনিয়নে বোম্বাই মরিচ এবং কাঁচা মরিচ চাষ হচ্ছে ৫-৬ হেক্টর জমিতে।
প্রত্যেক কৃষক বোম্বাই মরিচ বিক্রি করে আয় করছেন ৫০ হাজার থেকে দেড় লাখ টাকা। ফলে দিন দিন কলাপাড়া ও আশপাশের এলাকায় আধুনিক পদ্ধতিতে মরিচ চাষাবাদের পরিমাণ বাড়ছে।
মাটির উঁচু বেড তৈরি করে বাঁশ, কাঠ, নেট, পলিথিনে তৈরি শেডে বৈশাখ মাসে রোপণ করা হয় মরিচের চারা। নানা পরিচর্যার পর কমপক্ষে ৮ মাস ধরে চলে মরিচ উৎপাদন ও বিক্রি। এই পেশায় জড়িত ৩ শতাধিক চাষি বছরে আয় করছেন কোটি টাকা। স্থানীয় পর্যায়ে চাষাবাদে ধারাবাহিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করছেন কৃষি অধিদপ্তর।
কলাপাড়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মসিউর রহমান বলেন, ‘একজন কৃষক প্রতি শতকে ১৮শ থেকে ২ হাজার ব্যয় করার মাধ্যমে তার উৎপাদন হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার পরিমাণের। এতে কৃষকরা উপকৃত হচ্ছে। আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কলাপাড়া উপজেলার কৃষক এ মরিচ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি।’
দুর্যোগ মোকাবিলার এই পদ্ধতিতে নিরাপদ সবজি চাষ শুরু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে দাবি অভিজ্ঞ মহলের।