প্রধান অতিথি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরবের বিষয়। যাদের কল্যাণে আমরা স্বাধীন রাষ্ট্র, স্বাধীন মানচিত্র ও স্বাধীন নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতে পেরেছি সেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। এছাড়াও গণঅভ্যুত্থান-২০২৪ এ আমাদের অর্জিত স্বাধীনতাকে সংরক্ষিত করার জন্য যারা জীবন দিয়েছে তাদেরকেও শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন, আমরা ২০২৪ এ দেখেছি স্বাধীনতা রক্ষা করার জন্য সকল ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমে এসেছিল। ঠিক একইভাবে আমাদের সব সময় সোচ্চার থাকতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের পাশাপাশি স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে।’
এছাড়া তিনি নাগরিক সেবা নিয়ে তিনি বলেন, ‘নগরে বসবাসকারী মানুষকে একটি সুন্দর নগর, সুন্দর পরিবেশ ও সকল প্রকার নাগরিক সেবা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। নাগরিককে সেবা দেয়ার জন্য আমাদের নিয়োজিত করা হয়েছে, নাগরিক সেবা দ্রুত সময়ে প্রদান করায় আমাদের সর্বদায় নিয়োজিত থাকতে হবে। নাগরিকরা যেন হয়রানির স্বীকার না হয় সেজন্য দ্রুত সময়ে সেবা প্রদান করতে হবে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালনের ভিত্তিতে নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় আমাদের কাজ করতে হবে এটাই হবে আমাদের সঠিক স্বাধীনতার চেতনা।’
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশনসহ আনুষঙ্গিক দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, ‘দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সকল দাবিগুলো আন্তরিকতার সাথে সমাধান করার চেষ্টা করেছেন ও দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।’
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডিএসসিসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ডিএসসিসির সচিব মোহাম্মদ বশিরুল ইসলাম ভুঁইয়া, প্রধান প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের অন্তর্ভুক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা মো. বেলায়েত হোসেন বাবু ও আহাম্মদ হোসেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির সকল বিভাগীয় প্রধান ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।—বিজ্ঞপ্তি