এলাকাবাসীর বরাতে জানা যায়, একটি কাভার্ড ভ্যান ভৈরবের দিকে আসার সময় আরেকটি কাভার্ড ভ্যানকে ওভারটেক করার চেষ্টা করে। এ সময় মাঝখানে পড়ে যায় সিএনজিটি। পেছনের কাভার্ড ভ্যানটি সিএনজিকে ধাক্কা দিলে সেটি সামনে থাকা আরেকটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে গিয়ে চাপা পড়ে। মুহূর্তেই সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালক ও চার যাত্রী প্রাণ হারান।
দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক দ্রুত পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিএনজি ও কাভার্ড ভ্যান দু'টি জব্দ করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে গেছে। মরদেহগুলো উদ্ধার করে শনাক্তের জন্য ভৈরব থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীন বলেন, 'নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত করা যায়নি। মরদেহ শনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে এবং কাভার্ড ভ্যানের চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।'
মহাসড়কের ওই অংশে যানবাহনের বেপরোয়া গতির কারণে এমন দুর্ঘটনা প্রায়ই ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তারা সড়কে নিয়মিত নজরদারি ও দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।