জন্মভূমি অথবা মৃত্যু! জন্মভূমির জন্য ৫ আগস্ট মৃত্যুকেই আলিঙ্গন করে শহীদ রায়হান।
পুলিশের গুলিতে নিথর দেহের ছবির সামনে তাই বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে তার চাচা মো. রাসেল, যার কাছে থেকেই পড়াশোনা চলছিল শহীদ রায়হানের কিন্তু বুলেটের কাছে হেরে গেছে পরিবারের স্বপ্ন।
রায়হানের পরিবারের মতো এমন অনেক শহীদ পরিবার এসেছে ইসলামি ছাত্রশিবির আয়োজিত ফ্রেম বন্দি ৩৬ শে জুলাই নামক আলোকচিত্রী প্রদর্শনীতে।
যেখানে আবু সাঈদ, মুগ্ধ, ইয়ামিন সহ তুলে ধরা হয়েছে ওই সময়ের দুঃসহ স্মৃতি। রাখা হয়েছে আন্দোলনের উজ্জ্বল প্রতীক আবু সাঈদের দুই হাত প্রসারিত করা ডামিও, সেখানে দেখা গেল দর্শনার্থীদের ভিড়।
শহীদ পরিবার ছাড়াও এখানে এসেছেন অভ্যুত্থানে অংশ নেয়া অনেকেই যারা কেউ কেউ ছিলেন আন্দোলনে সম্মুখ সারিতে, কেউ হারিয়েছেন নিজের কাছের সহপাঠীকে আবার অনেকেই তাদের ছোট সন্তানদের নিয়ে এসেছেন জুলাই বিপ্লবের শহীদদের চেনাতে।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পেটুয়া বাহিনী দ্বারা জুলাইয়ের আগেও নানাভাবে যারা নির্মমতার স্বীকার হয়েছেন তারাও এসেছেন এই প্রদর্শনীতে। বললেন, দ্বিতীয়বার স্বাধীনতার জন্য এই আত্মত্যাগ যাতে জাতি ভুলে না যায় তাই এমন আয়োজন আরও করা প্রয়োজন।
আন্দোলন সফল করার আগে যে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা সবার মাঝে ছিল সেটি যেন হারিয়ে না যায় সে উদ্দেশ্যেই এই আয়োজন বলে জানান শিবির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
প্রদর্শনীর শেষ দিনে দাসত্বমুক্ত এবং বিভেদহীন দেশ গড়তে জুলাই বিপ্লবকে নিয়ে সামনে এমন আয়োজন ধারাবাহিকভাবে ঢাকাসহ ঢাকার বাইরেও আয়োজন করা হবে বলে জানান আয়োজকরা।