রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। এছাড়া নতজানু মনোভাব পরিহার করে ভারতের সাথে শুধু প্রতিবেশীসুলভ কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখারও দাবি উঠেছে এসব কর্মসূচি থেকে।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় উত্তাল দেশ। সরকারের কড়া প্রতিবাদের পাশাপাশি বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল-সংগঠন।
আজ (মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে জড়ো হয় নয়াপল্টনে। বেলা ১টায় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিপুল নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
ভারতে বাংলাদেশের দুটি কূটনৈতিক মিশনে পরপর হামলাকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা। বলছেন, কারো আধিপত্য কিংবা আগ্রাসন মেনে নেয়া হবে না। সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সব দল-মত একসাথে কাজ করবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘এই ষড়যন্ত্রের পিছনে সরাসরি খুনি হাসিনা জড়িত। সরাসরি আওয়ামী লীগ জড়িত। সেজন্য আমরা তার অতিদ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’
এর আগে সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী, ভারতে কূটনৈতিক নিরাপত্তায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানোর দাবি জানান।
বিএনপি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘ভারতীয় সরকার হামলার জন্য দু:খ প্রকাশের নাটক করলেও অতীতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের আগ্রাসী হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। যেখানে আমাদের এখানে জাতিসংঘের নিরাপত্তাবাহিনী পাঠাতে বলে তারা তবে আমরা দেখছি ভারতেই মিশনগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
এছাড়া বরিশালে জেলা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়। স্লোগানের আপস নাটোরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, নতজানু মনোভাব আর নয়, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে শুধু প্রতিবেশী হিসেবে।
এছাড়া ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টিসহ মঙ্গলবার কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বেশ কিছু রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।