বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে শুধু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই হয় ১৭টি মামলা। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা ও অর্থ-পাচারসহ সারাদেশে মামলা হয় আরো অর্ধশত।
৫ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে গুরুত্বের সাথে শুরু হয় হয় এসব মামলার বিচার কাজ। তাতে অধিকাংশ মামলায় নির্দোষ হিসেবে খালাস পান তারেক রহমান। রোববার (১ ডিসেম্বর) সবশেষ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মুক্তি মেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের। তাতে জনমনে আবারও জোরালো হচ্ছে তারেক রহমানের দেশে ফেরার প্রশ্নটি।
আজ (সোমবার, ২ ডিসেম্বর) নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এবিষয়ে কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ। বলেন, দ্রুত বাকি মামলা নিষ্পত্তি করে নতুন বছরে তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চায় বিএনপি
তিনি বলেন, ‘বিদেশে বসে এত বড় আন্দোলন করতে পারেন তিনি। পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন তিনি। এই মানুষটা দেশে নেই। তার অনুপস্থিতি সবাই অনুভব করছি তাই না।’
এর আগে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলার রায় নিয়ে কেউ যদি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে পুনঃতদন্তের আবেদন করতে পারেন। উল্লেখ করেন, গ্রেনেড হামলার পিছনে বিএনপির কোন সম্পৃক্ততা ছিল না।
তিনি বলেন, ‘আমার জানা মতে তার বিরুদ্ধে এখনো চারটি মামলা রয়েছে। আমাদের নেতা কর্মীরা উল্লসিত। তার দেশে ফেরার পথ সুগম হয়েছে। আমরা আশা করি অতি অল্প সময়ে এই মামলাগুলো নিষ্পত্তি হলে তিনি আসবেন। অবশ্যই আগামী নির্বাচনের আগে আমরা তাকে চাই।’
আইনজীবীরা জানান, এখনও ৪টি মামলা রয়েছে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।