অপরাধ ও আদালত
দেশে এখন
0

ধানমন্ডিতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

রাজধানীর ধানমন্ডিতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক আব্দুর রশিদ হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ জনের দুই জনই ঐ বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন, বকেয়া ভাড়ার কারণে বিরোধের সূত্রপাত বলে জানিয়েছে পুলিশ। জিম্মি করে টাকা আদায়ের জন্যই ডাকাতি করতে যায় তারা। আজ (শনিবার, ৩০ নভেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ- পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম এ তথ্য জানান।

গত ১৫ নভেম্বর, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক আব্দুর রশিদের ধানমণ্ডির বাসায় ডাকাতি করতে আসে দুর্বৃত্তরা। তখন আব্দুর রশিদ ছিলেন তাহাজ্জুদের নামাজরত অবস্থায়। স্ত্রী ডাক্তার সুফিয়া রশিদের গলার স্বর্ণের হার ছিনিয়ে নিতে চাইলে, ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তদের ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন আব্দুর রশিদ। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান।

এই ঘটনায় হাজারীবাগ থানার মামলা করেন নিহতের চাচাতো ভাই। বাসার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তিনজনকে শনাক্ত করা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে দুই সপ্তাহ পর জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নাঈম, রিফাত ও শাওন। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানায়, আসামিদের দুইজন আব্দুর রশিদের বাসায় ভাড়াটিয়া ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।

রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলম বলেন, ‘দুজন আগে থেকেই এই বাসায় থাকতো। ঘটনার একমাস আগে দুজন বের হয়ে যায়। তারা ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকার কারণে তাদের সবাই চিনতো। তবে দম্পতির সাথে তাদের ভাড়া নিয়ে বেশ কিছু ঝামেলা চলছিল। রাত ১০ টার পরে আসছে বাসায় ঢুকতে দেয়নি। এইসব মিলে মনোমালিন্য ছিল। রাগ ছিল।’

জিম্মি করে টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যেই তারা চিকিৎসক দম্পতির বাসায় যায় বলেও জানায় পুলিশ।

তিনি বলেন, ‘নাঈম, রিফাত ওদের বাসায় ছিল। আর সেখানে ডাকাতি করলে হয়ত কিছু টাকা পয়সা পাওয়া যাবে।’

গ্রেপ্তারের পর আসামিদের পাঠানো হয় ঢাকার আদালতে।

ইএ