গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আলোচনায় যখন আমূল রাষ্ট্র সংস্কার, তখনই প্রশ্ন ওঠে চলতি সংবিধান নিয়ে।
১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন এবং এর প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন। প্রথমে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিকের নাম উল্লেখ করলেও পরবর্তীতে অধ্যাপক আলী রীয়াজের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
নানা পক্ষ যখন সংবিধান সংস্কার নাকি পুনর্লিখন এই আলোচনা করছে, তখন গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ৭২ এর সংবিধানকে মুজিববাদী সংবিধান আখ্যায়িত করে পুনর্লিখনের দাবি জানায়।
ছাত্রদের এই দাবির পরেই নতুন করে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় আলোচনা। দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি তাদের ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব সামনে এনে সংবিধান সংশোধনের পক্ষে অবস্থান নেয়।
নানামুখী আলোচনা, তর্ক বিতর্কের মধ্যেই আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে বিএনপির সংবিধান সংস্কার প্রস্তাব জমা দিতে এসে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, কমিশনের কাছে ৬২টি সংস্কার প্রস্তাব করেছে তারা।
সংবিধান সংস্কার নাকি পুনর্লিখন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক জানান, পুনর্লিখন নয়, সংস্কার নিয়ে কথা বলেছেন তারা।
বিএনপি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎ শেষে কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজ জানান, প্রতিশ্রুত সংস্কারের লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে জরিপ চালাবে তার নেতৃত্বাধীন কমিশন।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত প্রস্তাব দিয়েছে। ৫০ হাজারের বেশি জনগণ মন্তব্য করেছে। আরো কয়েকটি সংগঠনের সাথে আলোচনা করা হবে।’
অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ‘আগামী সপ্তাহে সারা বাংলাদেশে জরিপ করা হবে, গ্রাম থেকে শহর, তরুণ থেকে বৃদ্ধ সকলের মতামত নেয়া হবে।’
তিনি বলেন, সুশীল সমাজ এবং রাজনৈতিক দল থেকে সহযোগিতা পেয়েছি। ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় পাব আশা করছি। তবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিবে সরকার।’